৪০ বছর পর ৭০ মাইল দূরে পাওয়া গেল হারানো আংটি
Published: 27th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের রক পোর্ট এলাকার বাসিন্দা নিল ল্যান্সডাউন তাঁর বাগান পরিচর্যার কাজ করছিলেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন, বাগানে আবর্জনার মধ্যে কিছু একটা চকচক করছে।
নিল এগিয়ে গিয়ে জিনিসটি হাতে তুলে পরিষ্কার করে নিলেন। ভালোভাবে লক্ষ করে দেখলেন, এটি একটি আংটি যাতে লেখা রয়েছে, ‘ওমাহা নর্থওয়েস্ট হাইস্কুল ক্লাস। সাল ১৯৭৮’। আংটির ভেতরের অংশে ‘ক্যারি ক্রুকার’ নাম লেখা রয়েছে।
নিল বলেন, আংটিটা পেয়ে তিনি বেশ অবাক হন। রক পোর্ট থেকে ৭০ মাইল দূরের ওমাহা থেকে এটি কীভাবে তাঁর বাগানে এল।
ডব্লিউওডব্লিউটি টিভিকে নিল বলেন, ‘আমি কোনো পুরস্কার চাই না। তবে এই আংটির মালিক কে, তাঁকে জানাতে এবং এটি তাঁর কাছে ফিরিয়ে দিয়ে নিজে তৃপ্তি পেতে চাই।’
সে জন্য নিল ওমাহা নর্থওয়েস্ট ফাউন্ডেশন নামের স্থানীয় একটি সংস্থার সহায়তা চাইলেন। এরপর সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে আংটির মালিকের খোঁজ নেওয়া শুরু করে। তবে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে টেলিশিনে আংটিটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়। এরপরই মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়।
আংটির মালিক ক্যারি ক্রুকার এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন। তাঁর ধারণা, আংটিটি ১৯৮১ সালের দিকে হারিয়ে গিয়েছিল।
ক্রুকার বলেন, ‘আমি জানি না, কীভাবে আংটিটি হারিয়ে গেল। আমি নিজে হারালাম, নাকি ভুলে কোথাও রাখলাম নাকি অন্য কেউ চুরি করে এটি নিয়ে গেল, সেটা মনে করতে পারছি না।’
ক্রুকার বলেন, তিনি জীবনে কোনো দিন রক পোর্টে যাননি। তবে যখন আংটিটি হারিয়েছিল, ওই সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা ওমাহায় একটি ফুলের দোকান চালাতেন। সুতরাং ওইভাবে আংটিটি ঘটনাচক্রে কোনো এক দিন নিলের বাগানে পড়ে যেতে পারে।
ক্রুকার আরও বলেন, ‘আমরা পাত্রে বসানো চারা গাছের ব্যবসা করতাম। সেখানে আমাদের এই ব্যবসা অনেক দিন ছিল।’ তবে সেখানে কীভাবে আংটিটি গেল, সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা খুন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ফেরিওয়ালা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পীরের বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নীপেশ তালুকদার (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নীপেশের গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে হলেও সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেল দিয়ে হাটবাজারে পান, সুপারি ও সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করতেন। গতকালও একইভাবে বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় তিনি পীরের বাজার এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। বাজারের পশ্চিম পাশে আসামাত্রই কিছু ছিনতাইকারী নীপেশের পথরোধ করে এবং একপর্যায়ে তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী গতকাল রাত ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।