গাজীপুরে শ্রমিকবাহী চলন্ত বাসে আগুন, আহত ৭
Published: 27th, February 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকবাহী চলন্ত বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৭ শ্রমিক আহত হয়েছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নেরর সোমবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও শ্রমিকরা জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে চরকা টেক্সটাইলের শ্রমিকদের নিয়ে বাসটি তুমুলিয়া ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক দিয়ে সোমবাজার হয়ে টঙ্গীর গাছার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বাসের সিএনজি সিলিন্ডারসহ পুরো বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বাসে থাকা শ্রমিকরা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৭ জন আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের এক ইউনিট দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আহত শ্রমিকদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে আমেনা নামে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি টঙ্গীর বাহার মার্কেট এলাকার বাদশার স্ত্রী।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র ফায়ার ফাইটার আতিকুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। প্রায় ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে বাসের পুরো বডি পুড়ে গেছে, তবে ইঞ্জিন ভালো রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ঘটনার সময় বাসের চালককে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগার পর চালক বাস ফেলে পালিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটি অথবা গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।”
ঢাকা/রফিক/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ উপহার প্রদান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৩০ মার্চ) রংপুরের পীরগঞ্জে বাবনপুর গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য প্রফেসর মো. শওকাত আলী।
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঈদ উপহার শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। উপাচার্য শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য বলেন, “শহীদ আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একজন সদস্য। আবু সাঈদকে ছাড়া তার পরিবার প্রথমবারের মতো ঈদ পালন করবে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী দেওয়ার জন্য এখানে এসেছি।”
তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পর প্রথমবারের মতো রমজান মাসে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায় রয়েছে। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের মতো যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আবু সাঈদসহ জুলাই বিপ্লবে শহীদদের হত্যাকারীদের যথাযথ বিচার এখনো দেখতে পারিনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও দেশবাসী ঈদের চেয়েও বেশি আনন্দ অনুভব করবে।”
গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাঈদ।
তার মৃত্যুর পর সারা দেশে আন্দোলন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।
ঢাকা/গাজী আজম/ইভা