বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু, ভার্চুয়ালি যুক্ত তারেক রহমান
Published: 27th, February 2025 GMT
জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এই বর্ধিত সভা শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্বে নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শোক প্রস্তাব দিয়ে বর্ধিত সভা শুরু হয়। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘প্রথম বাংলাদেশ আমাদের শেষ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে। এই প্রমান্যচিত্রে তৈরি করেছে ‘বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন মিডিয়া উপ-কমিটি’।
এছাড়া বর্ধিত সভা উপলক্ষে আমরা বিএনপি পরিবার ‘আস্থা’ নামে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে। এরপরে রুদ্ধদ্বার কর্ম অধিবেশন, যেখানে তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য দেবেন। পরে সমাপনীতে তারেক রহমান নীতিনির্ধারণীয় বক্তব্য দেবেন।
এদিকে তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ৬ স্তরের সাড়ে ৩ হাজার নেতারা এই বর্ধিত সভায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সকল কর্মকর্তা ও সদস্যরা, সকল মহানগর, জেলা, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা রয়েছেন। এছাড়া বিএনপির ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা রয়েছেন। এছাড়াও ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী এবং মনোনয়ন ইচ্ছুক যেসব প্রার্থী প্রাথমিক পত্র পেয়েছিলেন তারাও এই সভায় রয়েছেন।
সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য সকালের নাস্তা, দুপুরে খাবার, বিকেলে নাস্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকবে চা-কফির ব্যবস্থা।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ‘লা মেরিডিয়ানে’ বর্ধিত কমিটির সভা হয়। যেখানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বক্তব্য দেন। এর ৪ দিন পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠায় আওয়ামী লীগ সরকার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ত র ক রহম ন ব এনপ র কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ভ্যাটিকান থেকে ওড়া ধোঁয়ায় কীভাবে বোঝা যায় নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ভ্যাটিকানে রোমান ক্যাথলিক গির্জার নেতা নির্বাচনের কাজটি হয়ে আসছে। কার্ডিনালদের মধ্যে একান্তে অনুষ্ঠিত সভায় ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। এ বৈঠককে ঘিরে অনেক গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। সাধারণত দায়িত্বরত পোপ মারা গেলে কিংবা পদত্যাগ করলে এর কয়েক দিন পর এই সম্মেলন হয়ে থাকে।
কার্ডিনালদের অনেকেই বিশপ ও আর্চবিশপ হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ধর্মীয় বিষয়ে সহযোগিতার জন্য পোপই এঁদের নিয়োগ করে থাকেন। কার্ডিনালদের কেউ কেউ ভ্যাটিকানে কাজ করেন। তবে বেশির ভাগ কার্ডিনালই বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে আছেন। সেখানে তাঁরা বিশপ ও আর্চবিশপের জন্য নির্ধারিত কাজগুলো করে থাকেন।
রোমান ক্যাথলিকদের জন্য নতুন পোপ নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটির সময় হলে বিভিন্ন দেশের ৮০ বছরের কম বয়সী কার্ডিনালরা রোমে যান। তাঁরা পৌঁছানোর পর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় সকালবেলা বিশেষ একটি ধর্মীয় সমাবেশ হয়। বিকেলে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে কার্ডিনালরা পায়ে হেঁটে সিস্টিন চ্যাপেলের দিকে যান, যা কনক্লেভ নাম পরিচিত।
পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়া: ১. ধর্মীয় সভা ২. কার্ডিনাল ভোটার ৩. কনক্লেভ ৪. ভোট ৫. সাদা ধোঁয়া ৬. নির্বাচিত পোপ দেখা দেবেন ব্যালকনিতেএই কনক্লেভে রুদ্ধদ্বার সভায় ভোটাভুটি হয়। ভোটাভুটির ক্ষেত্রে কঠোরভাবে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। সিস্টিন চ্যাপেলে কোনো মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা হয়েছে কি না, তা তল্লাশি করা হয়। কার্ডিনালদেরও বলে দেওয়া হয় যে, তাঁরা যেন এ ভোটপ্রক্রিয়া নিয়ে বাইরের কারও সঙ্গে আলাপ না করেন। যদি কেউ এসব নিয়ে বাইরে আলাপ করেন তবে তাঁদের বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুনমারা গেলেন পোপ ফ্রান্সিস৩ ঘণ্টা আগেভোটাভুটি প্রক্রিয়া
সিস্টিন চ্যাপেলের ভেতর অবস্থানকারী প্রত্যেক কার্ডিনালের হাতে কাগজের ব্যালটগুলো দেওয়া হয়। সেখানে লাতিন ভাষায় লেখা থাকে-‘এলিগো ইন সুম্মুন পন্তিফিসেম’। এর অর্থ হলো, ‘আমি সর্বোচ্চ পোপ হিসেবে নির্বাচিত’। এ লেখাটির নিচে কার্ডিনালরা পরবর্তী পোপ হিসেবে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর নাম লিখে থাকেন। তবে কার্ডিনালরা সেখানে নিজের নাম লিখতে পারেন না।
ভোট দেওয়ার পর প্রত্যেক কার্ডিনাল তাঁদের জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী একে একে তাঁদের ভাঁজ করা ব্যালট নিয়ে একটি বেদির দিকে এগিয়ে যান এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যালটটি একটি পাত্রে রাখেন।
এরপর ভোট গণনার পালা। গণনা শেষে প্রাপ্ত ফল কার্ডিনালদের পড়ে শোনানো হয়।
ভোটাভুটিতে কোনো কার্ডিনাল দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবে তিনি নতুন পোপ নির্বাচিত হন।
কেউ যদি প্রয়োজনীয় ভোট না পান তবে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ দিন পর্যন্ত দিনে চারটি করে ভোটাভুটি করা হয়। দুটি ভোটাভুটি সকালে এবং দুটি ভোটাভুটি বিকেলে করা হয়। পঞ্চম দিনটি প্রার্থনা এবং আলোচনার জন্য নির্ধারিত রাখা হয়। এরপর আরও সাত দফায় ভোটাভুটি হতে পারে। আবারও বিরতি নেওয়া হয়। এরপর প্রয়োজনে আবারও ভোটাভুটি হতে পারে এবং এ নিয়মেই চলতে থাকে।
আরও পড়ুনরোম শহরের বুকে আস্ত এক দেশ ভ্যাটিকান সিটি১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ার