কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ করেছেন হলের অন্য শিক্ষার্থীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই চার ছাত্রীকে হলের বাইরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিক এক অফিস আদেশে ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনীতি শান্তি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রভোস্ট কমিটি ও প্রক্টরিয়াল বড়ির সমন্বয়ে অদ্য ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার বিকেল তিন ঘটিকায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভার সুপারিশক্রমে হলের পরিস্থিতি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে নিম্মোক্ত শিক্ষার্থীবৃন্দকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আবাসিক হলের বাইরে অবস্থানের জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

ওই চার ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনীতি শান্তি হলে থাকেন। গত মঙ্গলবার তাঁদের বিরুদ্ধে হলের কক্ষে মাদক সেবনের অভিযোগ তোলেন ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র হল প্রাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর দেন। এতে তাঁরা বলেন, ‘আমরা সুনীতি শান্তি হলের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে গভীর উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে দীর্ঘদিন যাবৎ হলে কিছু শিক্ষার্থী.

..কক্ষ দখল করে সেখানে মাদক সেবন করছে।’ ওই চার শিক্ষার্থীর নাম–পরিচয় উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, হলের অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করছেন তাঁরা। মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীদের হল থেকে বহিষ্কার, জড়িত ব্যক্তিদের ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ, হলের নিরাপত্তা জোরদার, বহিরাগত প্রবেশে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মাদক ও অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে ক্যাম্পেইন ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে সুনীতি শান্তি হলের এক আবাসিক ছাত্রী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর আগেও কয়েকবার প্রভোস্ট ম্যামকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার হলের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী মিলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’

যে চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের একজনের ভাষ্য, ‘যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটির পরিপ্রেক্ষিতে বলব, কারও কাছে কোনো প্রমাণ আছে? কেউ দেখেছে? শুধু আমাদের হয়রানি করার জন্য এটা করা হয়েছে। কারণ, আমিসহ কয়েকজন আগে ছাত্রলীগ করেছি। পরে বিবেকের তাড়নায় চব্বিশের আন্দোলনও করেছি। এখন আমাদের পড়াশোনার শেষ দিকে। হল থেকে বের করার জন্য এই অভিযোগ সাজানো হয়েছে।’

গতকাল রাতে আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আপাতত আমার এক ফ্রেন্ডের বাসায় আছি। ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে হল থেকে বের করা হয়েছে। সামনে আমার পরীক্ষা, এখন কোথায় যাব জানি না। আজ (গতকাল) ডোপ টেস্ট করিয়েছি। কাল (আজ) বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেব।’

এসব বিষয়ে জানতে সুনীতি শান্তি হলের প্রাধ্যক্ষ শাহীনুর বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের সকালে রোগী, নার্স ও ট্রাফিক পুলিশের  সঙ্গে টিম খোরশেদ’র শুভেচ্ছা বিনিময় 

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদের দিন সকালে নারায়ণগঞ্জের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ঈদের দিন ভর্তি থাকা রোগী,নার্স ও পরিবার পরিজনের বন্ধন ছেড়ে নাগরিক সেবায় নিয়োজিত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে পুষ্টিকর প্রাত:রাস (নাস্তা-দুধ, জুস, বিস্কুট ও কেকের বক্স) বিতরণ করে মানবিক সংগঠন টিম খোরশেদ। 

ঈদের নামাজ শেষে টিম খোরশেদ এর স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ প্রথমে হাসপাতালের রোগী ও নার্স ও পরে রাস্তায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশদের মাঝে নাস্তা বিতরণ করে।

টিম খোরশেদ এর দলনেতা সাবেক সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আমরা আসলে দূর্গত মানুষ ও নাগরিক সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের আনন্দে অংশ নিয়ে হাসি ফুটানোর জন্যই আমাদের সকল কার্যক্রম।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ