Samakal:
2025-04-19@08:23:13 GMT

যদি ৩০০ হয় ...

Published: 27th, February 2025 GMT

যদি ৩০০ হয় ...

প্রশ্ন– কত রান নিরাপদ মনে করেন? ফিল সিমন্স– ‘তিনশ প্লাস রান তো করতেই হবে। পাকিস্তানে সাড়ে তিনশ রানও তো নিরাপদ থাকছে না।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে রাওয়ালপিন্ডির কন্ডিশনে দলের কাছে কোচের চাওয়া ছিল হাই স্কোর। অথচ ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের ম্যাচটি হয়ে গিয়েছিল লো স্কোরিং।

 স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচেও বড় স্কোর চাওয়া সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। তিনশ রানের আকাঙ্ক্ষা আছে। ওই রান হলে বোলাররা ম্যাচ জেতাতে পারবে বলে বিশ্বাস টিম ম্যানেজমেন্টের। সেদিক থেকে সমর্থকরাও মনে মনে ধরে নিতে পারেন, নাজমুল হোসেন শান্তরা তিনশ রান করলে নাহিদ রানারা জয় উপহার দিতে পারবেন। 

বাংলাদেশের দুঃখ আইসিসির টুর্নামেন্ট। ওয়ানডে বা টি২০ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারে না। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলায় একটা আশার জায়গা তৈরি হয়েছিল। ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত আরেকটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজিমাত করার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটারদের চোখেমুখে। এ কারণেই হয়তো অধিনায়ক শান্ত বলেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে খেলবেন। টানা দুই ম্যাচে বাজে ক্রিকেট খেলার পরও অধিনায়কের পক্ষে ঢাল ধরলেন সালাউদ্দিন। 

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সামর্থ্য না থাকলে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতাম না। বিশ্বের সেরা আটটি দল এসেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা আসতে পারেনি। যদি এখানে অংশগ্রহণ করতে আসি, তাহলে আসার দরকার নেই। একটা স্বপ্ন নিয়ে এসেছি। যেহেতু আমরা পারফর্ম করতে পারিনি, কথাগুলো তাই শুনতেই হবে।’ 

এবার কেন পারল না বাংলাদেশ– সেই ব্যাখ্যাও দিলেন কোচ, ‘প্রস্তুতি একটা বড় ব্যাপার। আমরা বিপিএল খেলে চলে এসেছি। ভারত ও ইংল্যান্ড প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি খেলোয়াড়দের হাতে না। আমাদের ম্যানেজমেন্টকে দেখতে হবে। আমরা চাইলে ১৫ দিন আগে বিপিএল শেষ করতে পারতাম। সামনে এগুলো ভেবে দেখতে হবে।’ 

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সমস্যা চিহ্নিত করতে গিয়ে ইনিংসের মাঝের ওভারগুলোতে ব্যাটার ও বোলারদের দুর্বলতা তুলে এনেছেন। সমকালকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দল যতদিন না মাঝের ওভারগুলোতে ভালো ব্যাটিং করতে পারবে, লং ইনিংস খেলবে, উইকেট কম হারাবে, ততদিন বড় ইনিংস করতে পারবে না। তেমনি মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট টেকিং বোলার লাগবে। যে কাজটি এবাদ হোসেন করতে পারত।’ 

বাংলাদেশের লো স্কোর করার কারণ হলো, ব্যাটারদের ডট খেলা। ভারতের বিপক্ষে ১৫৯টি আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৫টি ডট বল খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। যদিও ডট বল বেশি খেলা দলের ব্যর্থতার কারণ মনে করেন না সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আরও বেশি ডট বল খেললেও কিছু মনে করতাম না। কারণ, রান রেট ভালো ছিল। ২০ ওভার ৯৭ রান ছিল। মাঝে উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমাদের ক্যারি করা সম্ভব হয়নি। উইকেট থাকলে হয়তো তিনশ রান হয়ে যেত।’ 

পাকিস্তানের বিপক্ষে সামর্থ্য মাথায় রেখে একাদশ সাজাতে চান সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটি টুর্নামেন্ট খেলছি।  এখানে সুযোগ দেওয়ার চেয়েও সুযোগ করে নেওয়া জরুরি। যাদের নিলে আমরা জিততে পারব, তারাই খেলবে।’ যদিও আগের ম্যাচের দল নিয়েই খেলার সম্ভাবনা বেশি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ 

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্খা বারবার পর্যদুস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের সংগ্রামের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে বিভিন্নভাবে সে বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে। 

শনিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে দলটির উদ্দেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের বুকের উপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং আপনাদের সাথীদের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছেন। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে। তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনও এ দেশে ফিরে না আসে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সব রকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। 

আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন ও নাহিদা সারোয়ার নিভা। 

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। দিনব্যাপী এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ