সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নতি হয়েছে: সেনাপ্রধান
Published: 27th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারে ৭ম ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এরমধ্য দিয়ে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী সেনানিবাসের শহীদ কর্নেল আনিস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাপ্রধান পৌঁছালে তাকে প্রচলিত সামরিক রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে অভিবাদন জানানো হয় এবং একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এরপর সেনাবাহিনীর প্রধানকে ‘কর্নেল র্যাঙ্ক ব্যাজ’ পরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেনাপ্রধান বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন ও উন্নতি হয়েছে। আগামী দিনে সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। সেনাবাহিনীর সদস্যদের পেশাদার ও সুদক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।
অনুষ্ঠান শেষে সেনাপ্রধান ১৯তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে বক্তব্য দেন এবং এই রেজিমেন্টের উন্নয়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও দেশে-বিদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তিনি আধুনিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে রেজিমেন্টের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সেনাসদর, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাবিপ্রবির ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হ য ব র ল
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) শুরু হয়েছে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫। প্রতিযোগীর নেই কোন নির্দিষ্ট তালিকা। কোনো ইভেন্ট শুরুর আগে মাইকে সবার উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে, ‘কারা কারা অংশগ্রহণ করবেন তারা এসে স্ট্রেজে নাম দিয়ে যান।’
পর্যাপ্ত প্রতিযোগী না পাওয়া গেলে আবারো সবাইকে এভাবে ডাকা হচ্ছে নাম দেওয়ার জন্য। এরপর যারা নাম দিচ্ছেন, তাদের নিয়েই শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার ঠিক আগ মুহূর্তে শেখানো হচ্ছে নিয়ম-কানুন।
এমনই হ য ব র ল অবস্থা দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। আয়োজক কমিটির এমন অপেশাদারিত্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আবদুল-আওয়াল। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.শামীম আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শারীরিক শিক্ষা দপ্তর থেকে বিভাগগুলোতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে আগামী মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হবে জানিয়ে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার মধ্যে প্রতিযোগীদের নামের তালিকা বিভাগগুলোতে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। সময় স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ বিভাগই শারিরীক শিক্ষা দপ্তরে প্রতিযোগীদের নামের তালিকা পাঠাতে পারেননি। এরপর বিভাগগুলোতে জানিয়ে দেওয়া হয়, খেলার মাঠে গিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নাম দিতে।
শিক্ষার্থীরা জানান, শহীদ জাহিদ আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা গতকাল সোমবার হয়েছে। ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শেষ না হতেই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আবার সময় রাখা হয়েছে একদিন। প্রতিযোগিতা নিয়ে আয়োজক কমিটির কোন প্রচার-প্রচারণাও ছিল না। আবার ক্লাস-পরীক্ষাও বন্ধ রাখা হয়নি। যাদের ক্লাস-পরীক্ষা ছিল তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেনি। ফলে এ প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী ও দর্শক- কোনটাই আশানুরূপ হয়নি।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, খেলার সবকিছুই অগোছালো ছিল। প্রতিযোগীদের নাম দেওয়া, বাছাই করা, সময় ব্যবস্থাপনা এগুলোর মধ্যে কোন শৃঙ্খলা ছিল না। দৌড় প্রতিযোগিতায় একই সময়ে বাছাই, এরপর আবার ফাইনাল। শিক্ষার্থীদের ক্লান্তি-অক্লান্তি কথা মাথায় না রেখেই আয়োজক কমিটি সব মন মতো করে গেছে।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, “খেলায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রেজেন্টেশন দিতে গেছি। কিন্তু প্রেজেন্টেশন শেষ করে এসে দেখি ওই খেলা শেষ হয়ে গেছে।”
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী আল-আমিন হোসেন বলেন, “বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নিয়ে আগে সবার মাঝে যেমন আগ্রহ ছিল, সেটা একেবারেই দেখতে পায়নি। একটা বিভাগের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি থাকে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খেলা কমিটিতে থাকা এক শিক্ষক বলেন, “দুইদিন আগে আমাদের কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমরা কতটুকু কাজ করব। যতটুকু সময় ছিল এর চেয়ে ভালো কিছু করা সম্ভবও ছিল না।”
প্রতিযোগিতার অগোছালো অবস্থার কারণ জানতে চাইলে মাঠে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, “আমাকে সকালে বলা হয়েছে মাঠে আসতে। এর আগের কোনকিছু আমি জানি না।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আবদুল-আওয়াল বলেন, “আমাদের হাতে সময় খুব কম ছিল। সামনের সপ্তাহেই রোজা। রোজার পর আবার গরম শুরু। সে কারণে আমাদের অল্প সময়ের মধ্যেই প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হয়েছে। আগামী বছর আমরা সময় নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করব।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী