Prothomalo:
2025-02-27@07:16:53 GMT

আলু নিয়ে কত কিছু হয়, জানেন কী

Published: 27th, February 2025 GMT

এবার দেশের উত্তরাঞ্চলে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় আলুর দাম কম। ক্ষতি কমাতে কৃষক হিমাগারে আলু রেখে পরে বিক্রির চিন্তা করছেন। হিমাগারে তাই কৃষকের ভিড় বাড়ছে। মালিকেরা হিমাগার পরিচালনার খরচ বাড়ার কথা বলে ভাড়া বাড়িয়েছেন। রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় কৃষকেরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। সব মিলিয়ে হিমাগারমালিক ও আলুচাষিরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে।

আলুচাষিদের কথা

আলু চাষের খরচের একটি ধারণা দেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুরাকুটি গ্রামের আলুচাষি মো.

শামিম হোসেন। তিনি বলেন, এ বছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। বীজ আলু লেগেছে ৪০ বস্তা। এর মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রাসায়নিক সারে ২১ হাজার, জৈব সারে ২১ হাজার, কীটনাশকে ১০ হাজার, কুয়াশানাশকে ১০ হাজার, আলু লাগানোর শ্রমিক খরচে ১৪ হাজার, নিরানী ও সেচে ২৫ হাজার, আলু তোলায় ৩৫ হাজার, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ ৪০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে ৭ বিঘা জমিতে তাঁর মোট খরচ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আলু পেয়েছেন ২৪০ বস্তা বা ১ হাজার ৩০০ কেজি। বর্তমান বাজারমূল্যে প্রতি কেজি আলু ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে তাঁর লোকসান হবে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। লোকসান কমাতে তিনি যদি হিমাগারে আলু রাখতে যান, খরচ আরও বাড়বে।

আলুচাষিরা প্রতিবছর হিমাগারমালিকদের ছলচাতুরির মধ্যে পড়েন, এমন অভিযোগ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার আলুচাষি শওকত হোসেনের। তিনি বলেন, এখন আলুর দাম কম। আলু হিমাগারে রেখে বছরের মাঝামাঝি সময়ে দাম বাড়লে বিক্রির আশা করেছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু হুট করে হিমাগারমালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দিলেন। বাড়তি ভাড়ায় আলু সংরক্ষণ করতে গেলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান বাড়বে।

হিমাগারভাড়াসহ অন্য খরচ যোগ করে আলু বিক্রি করতে হলে যে ক্রেতাদের বেশি দামে কিনতে হবে, স্পষ্ট করেই সেটা বললেন একই উপজেলার ঢোলারহাট গ্রামের আলুচাষি সন্তোষ বর্মণ।

জমি থেকে আলু তুলে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কৃষিশ্রমিকেরা। রংপুর শহরতলির জগদিশপুর এলাকায়

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল চ ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের শত্রুরা এখনো গভীর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে: খালেদা জিয়া

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসর ও বাংলাদেশের শত্রুরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্জন নস্যাৎ করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।  

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দলের বর্ধিত সভায় যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি এখন চিকিৎসার জন্য এখন লন্ডনে আছেন।  

আজ বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে বিএনপির বর্ধিত সভা। এতে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও।  

তাঁর বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনো ফ্যাসিস্টদের দোসররা চক্রান্তে লিপ্ত। আসুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য আমাদের সবশক্তি নিয়োগ করি। ঐক্যকে আরও বেগবান করি।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, দেশ আজ এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। আপনাদের ও ছাত্রদের সমন্বিত আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা বিদায় নিয়েছে। একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। তাদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, রাষ্ট্র মেরামতের ন্যূনতম সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আসুন, জনগণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে পূর্বের ন্যায় আন্দোলন সংগ্রাম ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব প্রদানে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহতভাবে গড়ে তুলি।

খালেদা জিয়া বলেন, ছাত্র-যুবকসহ দেশবাসী কাছে আহ্বান রাখতে চাই, আসুন ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বাসযোগ্য ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ