Prothomalo:
2025-04-19@08:23:10 GMT

আলু নিয়ে কত কিছু হয়, জানেন কী

Published: 27th, February 2025 GMT

এবার দেশের উত্তরাঞ্চলে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় আলুর দাম কম। ক্ষতি কমাতে কৃষক হিমাগারে আলু রেখে পরে বিক্রির চিন্তা করছেন। হিমাগারে তাই কৃষকের ভিড় বাড়ছে। মালিকেরা হিমাগার পরিচালনার খরচ বাড়ার কথা বলে ভাড়া বাড়িয়েছেন। রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় কৃষকেরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। সব মিলিয়ে হিমাগারমালিক ও আলুচাষিরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে।

আলুচাষিদের কথা

আলু চাষের খরচের একটি ধারণা দেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুরাকুটি গ্রামের আলুচাষি মো.

শামিম হোসেন। তিনি বলেন, এ বছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। বীজ আলু লেগেছে ৪০ বস্তা। এর মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রাসায়নিক সারে ২১ হাজার, জৈব সারে ২১ হাজার, কীটনাশকে ১০ হাজার, কুয়াশানাশকে ১০ হাজার, আলু লাগানোর শ্রমিক খরচে ১৪ হাজার, নিরানী ও সেচে ২৫ হাজার, আলু তোলায় ৩৫ হাজার, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ ৪০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে ৭ বিঘা জমিতে তাঁর মোট খরচ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আলু পেয়েছেন ২৪০ বস্তা বা ১ হাজার ৩০০ কেজি। বর্তমান বাজারমূল্যে প্রতি কেজি আলু ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে তাঁর লোকসান হবে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। লোকসান কমাতে তিনি যদি হিমাগারে আলু রাখতে যান, খরচ আরও বাড়বে।

আলুচাষিরা প্রতিবছর হিমাগারমালিকদের ছলচাতুরির মধ্যে পড়েন, এমন অভিযোগ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার আলুচাষি শওকত হোসেনের। তিনি বলেন, এখন আলুর দাম কম। আলু হিমাগারে রেখে বছরের মাঝামাঝি সময়ে দাম বাড়লে বিক্রির আশা করেছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু হুট করে হিমাগারমালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দিলেন। বাড়তি ভাড়ায় আলু সংরক্ষণ করতে গেলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান বাড়বে।

হিমাগারভাড়াসহ অন্য খরচ যোগ করে আলু বিক্রি করতে হলে যে ক্রেতাদের বেশি দামে কিনতে হবে, স্পষ্ট করেই সেটা বললেন একই উপজেলার ঢোলারহাট গ্রামের আলুচাষি সন্তোষ বর্মণ।

জমি থেকে আলু তুলে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কৃষিশ্রমিকেরা। রংপুর শহরতলির জগদিশপুর এলাকায়

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল চ ষ

এছাড়াও পড়ুন:

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে: আলী রীয়াজ 

গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়কে বিভিন্নভাবে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের আকাঙ্খা বারবার পর্যদুস্ত হয়ে একটি ব্যক্তিতান্ত্রিক শাসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রের সংগ্রামের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে বিভিন্নভাবে সে বিজয়কে ভূলন্ঠিত করা হয়েছে। 

শনিবার ঢাকায় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা পবন চৌধুরীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদ শাসনকে পরাভূত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছে দাবি করে দলটির উদ্দেশে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, দীর্ঘদিনের যে ফ্যাসিবাদী শাসন জগদ্দল পাথরের মতো আমাদের বুকের উপর বসে ছিল, তার বিরুদ্ধে জীবনবাজি রেখে লড়াই, অকুতোভয় সংগ্রাম এবং আপনাদের সাথীদের প্রাণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সে শাসনকে পরাস্ত করতে পেরেছেন। একটি ফ্যাসিবাদী শাসনকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছেন যা বাংলাদেশকে রাষ্ট্র সংস্কারের দিকে অগ্রসর করেছে। তিনি বলেন, এখন সকলে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সময় এসেছে। ফ্যাসিবাদ যেন আর কখনও এ দেশে ফিরে না আসে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন স্থায়ী রূপ নেয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং সব রকমের নিপীড়ন যেন আমরা প্রতিহত করতে পারি। 

আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ছাড়াও ছিলেন সামান্তা শারমিন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, সারোয়ার তুষার, জাভেদ রাসিন ও নাহিদা সারোয়ার নিভা। 

উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। ২৩ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি কমিশন বরাবর তাদের মতামত জমা দেয়। সে প্রেক্ষিতে দলটির সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে কমিশন। দিনব্যাপী এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ