Prothomalo:
2025-03-30@07:42:54 GMT

আলু নিয়ে কত কিছু হয়, জানেন কী

Published: 27th, February 2025 GMT

এবার দেশের উত্তরাঞ্চলে আলুর ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় আলুর দাম কম। ক্ষতি কমাতে কৃষক হিমাগারে আলু রেখে পরে বিক্রির চিন্তা করছেন। হিমাগারে তাই কৃষকের ভিড় বাড়ছে। মালিকেরা হিমাগার পরিচালনার খরচ বাড়ার কথা বলে ভাড়া বাড়িয়েছেন। রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় কৃষকেরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। সব মিলিয়ে হিমাগারমালিক ও আলুচাষিরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে।

আলুচাষিদের কথা

আলু চাষের খরচের একটি ধারণা দেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার দুরাকুটি গ্রামের আলুচাষি মো.

শামিম হোসেন। তিনি বলেন, এ বছর তিনি সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। বীজ আলু লেগেছে ৪০ বস্তা। এর মূল্য ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে রাসায়নিক সারে ২১ হাজার, জৈব সারে ২১ হাজার, কীটনাশকে ১০ হাজার, কুয়াশানাশকে ১০ হাজার, আলু লাগানোর শ্রমিক খরচে ১৪ হাজার, নিরানী ও সেচে ২৫ হাজার, আলু তোলায় ৩৫ হাজার, পরিবহন ও অন্যান্য খরচ ৪০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে ৭ বিঘা জমিতে তাঁর মোট খরচ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আলু পেয়েছেন ২৪০ বস্তা বা ১ হাজার ৩০০ কেজি। বর্তমান বাজারমূল্যে প্রতি কেজি আলু ১৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এ হিসাবে তাঁর লোকসান হবে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। লোকসান কমাতে তিনি যদি হিমাগারে আলু রাখতে যান, খরচ আরও বাড়বে।

আলুচাষিরা প্রতিবছর হিমাগারমালিকদের ছলচাতুরির মধ্যে পড়েন, এমন অভিযোগ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর এলাকার আলুচাষি শওকত হোসেনের। তিনি বলেন, এখন আলুর দাম কম। আলু হিমাগারে রেখে বছরের মাঝামাঝি সময়ে দাম বাড়লে বিক্রির আশা করেছিলেন কৃষকেরা। কিন্তু হুট করে হিমাগারমালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দিলেন। বাড়তি ভাড়ায় আলু সংরক্ষণ করতে গেলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান বাড়বে।

হিমাগারভাড়াসহ অন্য খরচ যোগ করে আলু বিক্রি করতে হলে যে ক্রেতাদের বেশি দামে কিনতে হবে, স্পষ্ট করেই সেটা বললেন একই উপজেলার ঢোলারহাট গ্রামের আলুচাষি সন্তোষ বর্মণ।

জমি থেকে আলু তুলে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কৃষিশ্রমিকেরা। রংপুর শহরতলির জগদিশপুর এলাকায়

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল চ ষ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতি বছরের মতো রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও এখানে ঈদের জামাতে অংশ নিতে পারেন।

রবিবার (৩০ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ‌প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন। বিকেল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তিনি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিস) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা দু’জনই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া, ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজে অংশ নিতে পারবেন।

ডিএসসিসি জানিয়েছে, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে এবার প্রধান জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া খারাপ হবে না বলেই পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। তবে আবহাওয়া বৈরী হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররমে প্রধান জামাত হবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সেজন্য ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিকূল পরিস্থিতি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএসসিসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ