আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্বে বায়ুদূষণে তৃতীয় স্থানে আছে রাজধানী ঢাকা। আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৯১। বায়ুর এ মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। গতকাল বুধবার ঠিক এ সময়ে বায়ুর মান ছিল ২১১। আর বিশ্বে অবস্থান ছিল পঞ্চম।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

বায়ুদূষণে আজ প্রথম স্থানে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। এ শহরের স্কোর ২২৯।
রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে সাভারের হেমায়েতপুর (৩৫৬), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৯) ও কল্যাণপুর (২৫৮)।

রাজধানীর বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে। কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকায় জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে। আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১১৪, রাজশাহীতে ১৬৮ ও খুলনায় ১৬৪।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালকসহ নিহত ২

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার রেলগেট নয়নগাঁতী কবরস্থানের কাছে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও এক যাত্রী আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাইক্রোবাসের চালক মুনছুরুল আলম (৪০) ও যাত্রী মানিক চন্দ্র শীল (৪২)। এতে সুমন কুমার (৪২) নামের আরেক যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁরা সবাই পাবনার আমিনপুর থানার হরিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।

হাইওয়ে পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পাবনার নগরবাড়ি থেকে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক রংপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। ট্রাকটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা পাবনাগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে এটির চালক, যাত্রীসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের উদ্ধার করে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে মুনছুরুল ও সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রউফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়। তবে স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তুতি চলছে। বিধ্বস্ত ট্রাক ও মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিরাজগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালকসহ নিহত ২