রান্নায় হলুদ বেশি হয়ে গেলে করণীয়
Published: 27th, February 2025 GMT
তরকারির রং বাড়াতে হলুদের জুড়ি নেই। শুধু তাই না এই মশলা স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। কিন্তু অনেক সময় তাড়াহুড়া করতে গিয়ে কিংবা বেখেয়ালে রান্নায় হলুদ বেশি হয়ে যেতে পারে। তরকারিতে হলুদ বেশি হয়ে গেলে নাকে কাঁচা হলুদের গন্ধ আসে। গন্ধ এড়াতে কয়েকটি উপায় মেনে চলতে পারেন।
আটার বল: রন্ধনশিল্পীরা বলেন, রান্নায় হলুদ বেশি হয়ে গেলে আটার বল বানিয়ে তরকারিতে দিয়ে দিতে পারেন। এতে হলুদ কমে যাবে। রান্নায় অতিরিক্ত লবণ পড়ে গেলেও আটার বল দিতে পারেন। তিন চারটি আটার বল বানিয়ে ফুটন্ত তরকারিতে দিয়ে দিলে অতিরিক্ত হলুদের রং ও গন্ধ দুই’ই দূর হবে।
টমেটো: তরকারিতে হলুদ বেশি হলে টমেটো পিউরি বা টমেটো সসও দিয়ে দিতে পারেন। এতে হলুদের বাড়তি গন্ধ বা স্বাদ কোনোটাই থাকবে না।
আরো পড়ুন:
ই-বুককে জনপ্রিয় করছে ‘বইটই’, বিনামূল্যে পড়া যায় তিন শতাধিক বই
পর্যাপ্ত পানি পান করার পরেও ত্বক শুষ্ক হয় কেন?
আলু: তরকারিতে অতিরিক্ত হলুদ হয়ে গেলে একটি বড় আলু কেটে দিয়ে দিতে পারেন। অতিরিক্ত হলুদ টেনে নেবে।
যেকোনো শাক: যেকোনো ধরনের শাক তরকারি থেকে অতিরিক্ত হলুদ টেনে নিতে পারে। লাউ পাতা, পালং শাক, পুই শাক বা কলমি শাক তরকারিতে দিয়ে দিলে সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
ফোড়ন দিয়ে দিতে পারেন: তরকারির অতিরিক্ত হলুদ দূর করার জন্য তেল গরম করে দুই, একটি শুকনো মরিচ দিয়ে ফোড়ন দিয়ে দিন। এতে সুন্দর একটা লালচে রং হয়ে যাবে।
লোহার খুন্তি: বাসায় লোহার খুন্তি থাকলে সেই খুন্তি আগুনে পুড়িয়ে গরম করে নিতে পারেন। তারপর গরম খুন্তি তরকারি নেড়ে চেড়ে দিলে অতিরিক্ত হলুদ দূর হয়ে যাবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল দ ব শ তরক র ত হল দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বেক্সিমকোর ১৪ কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ, ৯ মার্চ থেকে পাওনা পরিশোধ শুরু
গাজীপুর নগরের সারাব এলাকার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলস বিভাগের ১৪টি কারখানা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার থেকে এসব কারখানার সব শ্রমিককে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো লিমিটেড (ইয়ার্ন ইউনিট-১ ব্যতিত) ও এর সংশ্লিষ্ট অন্য ১৩টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের বিশেষ অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, কারখানায় কোনো কাজ না থাকার কারণে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর এবং ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সর্বশেষ সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক কারখানাগুলোতে লে-অফ ঘোষণা করা হয়। কোনোভাবেই কাজের সংস্থান না থাকায় কারখানাগুলো ১৬ (৭) ধারা এবং তদনুযায়ী ২০ (৩) ধারা মোতাবেক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ছাঁটাই করা হলো। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর সব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাঁটাই করা সব শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইন ও বিধি অনুযায়ী সব পাওনা পরিশোধ করা হবে। এসব প্রাপ্য পাওনা আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করা হবে।
এদিকে নিয়মিত বেতন-ভাতা দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় শ্রম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৬০ কোটি টাকা আর কর্মকর্তাদের বেতন ১৫ কোটি টাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যাংক কোম্পানি আইনের দুটি ধারা শিথিল করে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে বেক্সিমকোর কারখানার বেতন-ভাতার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে এসব কারখানা এলাকায় আপাতত কোনো শ্রমিক অসন্তোষ নেই বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।
সম্প্রতি হাইকোর্টে এক রিটের শুনানিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেক্সিমকোর ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সালমান এফ রহমান গ্রেপ্তার হন। অনেক ব্যাংকের সঙ্গে বেক্সিমকোর লেনদেন থাকলেও শুধু জনতা ব্যাংকে ঋণপত্র খোলা হতো। ওই ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে বড় অংশই এখন খেলাপি। গ্রুপটির ঋণ একক ঋণগ্রহীতার সীমাও অতিক্রম করায় বেক্সিমকোর নতুন করে ব্যাংকঋণ নেওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বন্ধের কারণ হিসেবে সরকার জানায়, কারখানাগুলোতে অর্ডার না থাকা ও ব্যাংকে ঋণখেলাপি থাকায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না।