প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক শূন্য পদে জনবল নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। এই অধিদপ্তরে ১৩ ক্যাটাগরির পদে ৬৩৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ৫৪

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

২.

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ৪৬১

যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ ও বাংলায় ২০ শব্দ থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৩. পদের নাম: ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান (নিম্ন স্কেল)

পদসংখ্যা: ৩৯

যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৪. পদের নাম: স্টোরকিপার

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৫. পদের নাম: সহকারী স্টোরকিপার/সহকারী গুদামরক্ষক

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিক কম্পিউটার কোর্স (এমএস ওয়ার্ড, এমএস এক্সেল, ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ) সম্পন্ন হতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

আরও পড়ুনসেতু কর্তৃপক্ষে চাকরি, নবম থেকে ২০তম গ্রেডে পদ ৬৬৩১ জানুয়ারি ২০২৫৬. পদের নাম: ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ৪৯

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৭. পদের নাম: ড্রাইভার ট্রাক্টর

পদসংখ্যা: ৫

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৮. পদের নাম: মিল্ক ভ্যান ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

৯. পদের নাম: ট্রাক ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ৬

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

আরও পড়ুনস্যাটেলাইট কোম্পানিতে একাধিক পদে চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ২ লাখ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫১০. পদের নাম: ড্রাইভার (ট্রলি)

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১১. পদের নাম: ড্রাইভার (লরি)

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

১২. পদের নাম: পিকআপ ড্রাইভার

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: অন্যূন জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান পাস। বিআরটিএ কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাইভিং (হালকা/ভারী) লাইসেন্সসহ তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

বন অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৩৩৭১৩. পদের নাম: ড্রাইভার পাম্প/পাম্প চালক

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: সংশ্লিষ্ট ট্রেডে অন্যূন এসএসসি (ভোকেশনাল) বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)

বয়স:

সব প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে ‘অনলাইনে আবেদন’ বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ২০২৪ সালের ১৭ এপ্রিলের প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যে প্রার্থীর আবেদনপত্র গৃহীত হয়েছিল তাঁদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নাই। তবে, যেসব প্রার্থীর আবেদনপত্র বাতিল হয়েছিল তাঁরা বিধি মোতাবেক পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুনবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে বড় নিয়োগ, পদ ১৫২০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদন ফি

আবেদনপত্রের সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষার ফি বাবদ মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ, ঢাকা বরাবরে ১০০ টাকা অফেরৎযোগ্য সোনালী ব্যাংক পিএলসির ট্রেজারি চালানের (কোড নম্বর ১-৪৪৪১-০০০০-২০৩১ অথবা ১৪৪০৪০১-১২৩৭৫৪-১৪২২৩২৬) মাধ্যমে জমা করতে হবে। ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদনের শেষ সময়: ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুনডাক অধিদপ্তরে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন য ন দ ব ত য় ব ভ গ ব সমম ন প স গ র ড ১৬ পদ র ন ম বড় ন য় গ য গ যত

এছাড়াও পড়ুন:

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড যেভাবে এল

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এখন বিশ্বের অন্যতম বহুল ব্যবহৃত ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। সাধারণ টেক্সট এডিটর থেকে যাত্রা শুরু করে এমএস ওয়ার্ড এখন একটি শক্তিশালী ডকুমেন্ট তৈরির সরঞ্জাম। এমএস ওয়ার্ডের ইতিহাস ঘাঁটলে কয়েক দশক পর্যন্ত তথ্য জানা যায়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের আগে ওয়ার্ড প্রসেসিং হিসেবে আইবিএম সিলেকট্রিক টাইপরাইটার (১৯৬১), ওয়ার্ডস্টার (১৯৭৮) ও ওয়ার্ডপারফেক্ট (১৯৮০) ডিজিটাল ওয়ার্ড প্রসেসরের জনপ্রিয়তা ছিল। এসব প্রোগ্রাম টাইপরাইটার ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে লেখা তৈরি, সম্পাদনা ও ফরম্যাট করার সুযোগ ছিল।
পরবর্তী সময়ে আশির দশকের শুরুতে বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি ব্যবহারকারী-বান্ধব ওয়ার্ড প্রসেসর তৈরি শুরু করে। মাইক্রোসফট তখন আবির্ভূত হয়। তত দিনে মাইক্রোসফট আইবিএম কম্পিউটারের জন্য এমএস-ডস তৈরি করেছিল।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রথম তৈরি করেন চার্লস সিমোনি ও রিচার্ড ব্রডি। তাঁরা জেরক্স পিএআরসির দুই সাবেক প্রোগ্রামার। সেই সময় তাঁরা মাইক্রোসফটের একটি জেরক্স প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। ব্রাভোকে বলা হয় ডব্লিউওয়াইএসআইডব্লিউওয়াইজি ধরনের ওয়ার্ড প্রসেসর।

ডব্লিউওয়াইএসআইডব্লিউওয়াইজি মানে হোয়াট ইউ সি ইজ হোয়াট ইউ গেট।
১৯৮৩ সালে মাইক্রোসফট জেনিক্স ও এমএস-ডসের জন্য মাল্টি-টুল ওয়ার্ড প্রকাশ করে। পরে তাঁর নাম পরিবর্তন করে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড রাখা হয়। এর মাধ্যমে টেক্সট ফরম্যাটিং, স্পেলিং চেক ও মাউস ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। এসব বৈশিষ্ট্য ছিল সেই সময়ে নতুনত্ব। এসব বৈশিষ্ট্যের কারণে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওয়ার্ডস্টার ও ওয়ার্ডপারফেক্টের মতো সফটওয়্যারের বিপরীতে এগিয়ে যায়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রথম সরাসরি স্ক্রিনে বোল্ড ও ইটালিক টেক্সট দেখার সুযোগ দেয়।

মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের প্রাথমিক সংস্করণ কিছু জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও ওয়ার্ডপারফেক্টের সঙ্গে পেরে উঠছিল না। ১৯৮৯ সালে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফর উইন্ডোজ ১.০ প্রকাশ করে। এই সংস্করণ নতুন ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের উত্থানের সঙ্গে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (জিইউআই) সুবিধা গ্রহণ করে এগিয়ে যায়।

১৯৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ওয়ার্ডপারফেক্টকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে। মাইক্রোসফটের ওয়ার্ডকে মাইক্রোসফট অফিসের সঙ্গে বান্ডিল হিসেবে প্রকাশ করে মাইক্রোসফট। এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্টের সঙ্গে একত্রে প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে ওয়ার্ড ৬.০ (১৯৯৩) ও ওয়ার্ড ৯৭ (১৯৯৭) বাজারে প্রভাব তৈরি করে। অটোকারেকশন, অ্যানিমেটেড সহকারী ক্লিপির মতো জনপ্রিয় বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তখন।

পরবর্তী সময়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ২০০৩, ২০০৭ ও পরবর্তী সংস্করণের প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে আরও বাজার বিস্তৃত হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ২০০৭ রিবন ইউআই প্রবর্তন করে ওয়ার্ডের ইন্টারফেসকে পরিমার্জন করা হয়। ২০০৭ সালে ডট ডকএক্স ফাইল ফরম্যাট প্রকাশ করা হয়। ২০১০ দশকের পরে মাইক্রোসফট ক্লাউডে এমএস ওয়ার্ড ব্যবহার শুরু হয়।

সূত্র: মাইক্রোসফট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘ঈদের মধ্যে কষ্ট আরও বহুগুণ বেড়ে গেছে’
  • মাইক্রোসফট ওয়ার্ড যেভাবে এল