ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির কার্যালয়ে গভীর রাতে পেট্রোল বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলা সদর বাজারের হাসপাতাল রোডে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়কে লক্ষ্য করে বিপরীত দিক থেকে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বিএনপির কার্যালয়ে আগুন ধরে যায় এবং পশ্চিম দিকের জানালার একাংশ পুড়ে যায়। বোমা বিস্ফোরণের শব্দে স্থানীয় লোকজন ও বাজারের নৈশপ্রহরীরা ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

খবর পেয়ে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো.

ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চারটি অবিস্ফোরিত পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে সড়কে নিহত ১০ জনের মধ্যে দম্পতি ঝিনাইদহের বাসিন্দা

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী। এ দম্পতির শিশু সন্তান আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া গ্রামে শোক নেমে এসেছে।

বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রামের দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মনজুর হোসেন জানান, চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়। আহত হয়েছে পাঁচজন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের সকলের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত মাইক্রোবাসটি কক্সবাজারে যাচ্ছিল। নিহতরা সকলে মাইক্রোবাসের যাত্রী।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

চট্টগ্রামে টানা তিন দিন একই স্থানে দুর্ঘটনা, নিহত ১৬

দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মতিন বলেন, নিহত কয়েকজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে দুইজন ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা। বাকিদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

গণমাধ্যমে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনার খবর প্রকাশের পর নিহত দিলীপ বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি বোয়ালিয়া গ্রামে শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। নিহত দিলীপ বিশ্বাস বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। তিনি ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে কয়েকজন মিলে কক্সবাজারে ঘুরতে যাচ্ছিলেন।

শৈলকূপা থানার ওসি মাসুম খান জানান, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী মারা গেছে। তাদের মেয়ে আরাধ্য বিশ্বাস (৬) আহত হয়েছে। সে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ