পাকিস্তানকে এক বছরেই বদলে দিতে পারবেন যুবরাজের বাবা
Published: 27th, February 2025 GMT
সমালোচনা তো সবাই করতে পারেন। পথ দেখাতে পারেন কয়জন? খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমালোচকদের ধুয়ে দিয়েছেন সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুগরাজ সিং। যাঁর আরেকটা পরিচয়, তিনি সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের বাবা। ওয়াসিম আকরামের মতো আরও যাঁরা পাকিস্তানের সমালোচনা করছেন, তাঁদের এত কথা না বলে দলের দায়িত্ব নিতে বললেন যুগরাজ। এমনকি দাবি করলেন, তিনি কোচ হলেও পাকিস্তানকে এক বছরের মধ্যে বদলে দিতে পারবেন।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ–পাকিস্তান ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটা১৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে যুগরাজ বলেছেন, ‘ওয়াসিম ধারাভাষ্য দিয়ে টাকা কামাচ্ছে। আমি তাকে বলবো, দেশে ফিরে যাও, এই ক্রিকেটারদের নিয়ে একটা ক্যাম্প করো। আমি দেখতে চাই, তোমরা পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতাতে সাহায্য করতে পারো কি না। না পারলে পদত্যাগ করো।’
ভারতের হয়ে একটি টেস্ট ও ছয়টি ওয়ানডেতে খেলা যুগরাজ এখন কোচিং করান নিজের একাডেমিতে। পাকিস্তানকে নিয়ে তাই একটি চ্যালেঞ্জও দিয়েছেন যুগরাজ, ‘আমি তাদের কোচ হলে, এক বছরের ভেতর এমন দল তৈরি করে দেব, তোমাদের মনে থাকবে। এটা পুরোপুরি প্যাশনের বিষয়। আমি এখানে (নিজের একাডেমিতে) ১২ ঘণ্টা কাটাই। আপনাকে নিজের দেশের জন্য রক্ত ও ঘাম দিতে হবে।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ঘরের মাঠে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ৬০ রানে হারে নিউজিল্যান্ডের কাছে। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। কাল বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের শেষ ম্যাচটি তাই এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হিজরতের ৫টি শিক্ষা
সাহাবিদের হিজরতের ঘটনাবলি কেবল ইতিহাসের অংশ নয়, বরং তা মুমিন জীবনের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। তাদের হিজরতের ঘটনা ও ত্যাগের আদর্শ থেকে কয়েকটি মৌলিক শিক্ষা উঠে আসে:
১. হিজরত প্রথমত আল্লাহর আদেশ পালনহিজরত কেবল কৌশলগত পরিকল্পনা ছিল না, বরং ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা এক ইবাদতমূলক নির্দেশ। এই কারণে সাহাবিরা সবচেয়ে প্রিয় বস্তু—ঘরবাড়ি, সম্পদ, আত্মীয়স্বজন—সহজে ত্যাগ করতে পেরেছিলেন। (মুহাম্মদ সাইদ রমাদান আল-বুতি, ফিকহুস সিরাহ, পৃষ্ঠা: ১৫৬, দারুল ফিকর, দামেস্ক, ২০০৪)
২. ইমানের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগহিজরত শেখায় যে একটি জাতির ভিত্তি স্থাপন এবং সত্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য চরম মূল্য দিতে হয়। সুহাইব তাঁর সব সম্পদ, আবু সালামা তাঁর পরিবার এবং বনু জাহশ (রা.) জন্মভূমি ত্যাগ করে এই মূল্য পরিশোধ করেছিলেন। এই ত্যাগ বিনা মূল্যে অর্জিত হয়নি।
আরও পড়ুনমদিনায় হিজরত: ইসলামের ৬টি মাইলফলক০২ জুলাই ২০২৫৩. ইমানের সম্পর্ক অন্য সব সম্পর্ক থেকে ঊর্ধ্বেওমর (রা.) আইয়াশকে যখন তার মায়ের দোহাইয়ের ফিতনা থেকে সতর্ক করেছিলেন, তা প্রমাণ করে যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি আনুগত্যের বন্ধন অন্য সব জাগতিক সম্পর্ক (গোত্র, পরিবার, রক্ত) থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।
৪. ঐকান্তিক প্রচেষ্টার সঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসাহিজরত মোটেই বিশৃঙ্খল ছিল না। ওমর (রা.)-এর পরিকল্পনা, কাফেলাবদ্ধ হয়ে যাত্রা এবং কৌশল অবলম্বন—সবই প্রমাণ করে যে আল্লাহর ওপর নির্ভরতার পাশাপাশি মানবীয় প্রচেষ্টা ও সুচিন্তিত পরিকল্পনা গ্রহণ করাও আবশ্যক।
আরও পড়ুনমহানবী (সা.)–র হিজরত মদিনায় হলো যে কারণে২৯ জুন ২০২৫৫. আল্লাহর দয়ার বিশালতাএই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ফিতনা ও দুর্বলতা মানুষের জীবনে আসতে পারে। কিন্তু যখন তারা মক্কায় বন্দী হয়ে নিজেদের পাপী মনে করছিলেন, তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতটি নাজিল করে আশার দরজা খুলে দেন, ‘বলো, “হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের ওপর বাড়াবাড়ি করেছ (পাপ করেছ), তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন।”’ (সুরা জুমার, আয়াত: ৫৩)
এই আয়াতটি ছিল তাঁদের জন্য এক ঐশী ক্ষমা ও নতুন সুযোগের বার্তা।
হিজরত কেবল একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়; এটি একটি অক্ষয়–দর্শন—যেখানে ইমান, ধৈর্য এবং আত্মত্যাগের সমন্বয়ে একটি আদর্শ সমাজ গঠনের বীজ নিহিত ছিল। এই দর্শনই মুসলমানদের নতুন এক দিগন্তে পৌঁছে দেয়।
আরও পড়ুনআবিসিনিয়ায় নারী সাহাবিদের দ্বিতীয় হিজরত১৪ নভেম্বর ২০২৫