যুবদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-নির্যাতনের অভিযোগ
Published: 27th, February 2025 GMT
নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমনের বিরুদ্ধে রেলওয়ে স্টেশনে চাঁদাবাজি, শ্লীলতাহানি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিচার চেয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গতকাল বুধবার নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবু তাহের মোহাম্মদ মুসা নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, স্থানীয় মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমন ও তাঁর সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তারা স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে নিয়মিত মাদক ও জুয়ার আসর বসান এবং যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। সর্বশেষ ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে মাহমুদুল হাসান চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল লোক স্টেশনের অফিস কক্ষে ঢুকে স্টেশন মাস্টারসহ কর্মচারীদের লাঞ্ছিত করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
স্টেশন মাস্টার মুসা বলেন, ‘চাঁদাবাজ সুমন ও তাঁর লোকজনের অত্যাচারে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে। তারা শুধু আমাদের নয়, যাত্রীদেরও হয়রানি করছেন। সুমন আমাদের একজন সিনিয়র স্টাফকে নির্যাতন করেছে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সে রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যতটা লাঞ্ছিত ও হয়রানি করেছে, আওয়ামী লীগের আমলেও আমরা এতটা বঞ্চনার শিকার হয়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে নরসিংদী শহর যুবদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী সুমন বলেন, ‘যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু। তাঁর কাছে আমার নিয়মিত যাতায়াত আছে। কিন্তু লিখিত অভিযোগে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা আমি অবগত নই। আমি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করি। কিন্তু চাঁদাবাজি বা নির্যাতনের ঘটনা সত্য নয়।’
নরসিংদী জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ জানান, অভিযোগের বিষয়টি তাঁর জানা নেই। লিখিত অভিযোগের কপি তাদের কাছে আসেনি। নেতাকর্মীর বিভিন্ন অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছে বিএনপি। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদল, যুবদলসহ যে কেউ অপরাধে জড়িত থাকলে দলীয় শাস্তির পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করব, তা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে।’
নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধরীর ভাষ্য, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নরস দ য বদল ন ত র লওয় য বদল
এছাড়াও পড়ুন:
নানার লাশ দেখতে গিয়ে মারা গেলেন খালা ও ভাগনি
গাজীপুরে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে খালা ও ভাগনি। ঘটনার পর স্থানীয়রা যাত্রীবাহী বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করে।
সোমবার সকাল ১০টায় শহরের শিববাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা থানার কালিকাপুর মধ্যপাড়ার রহিদ উদ্দিনের স্ত্রী শিউলি বেগম (৫১) ও তাঁর বোন লিজা বেগমের মেয়ে তাবাসসুম (৫)। তারা সপরিবারে গাজীপুর মহানগরীর নলজানি এলাকায় বাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় শিউলি বেগম এবং তাবাসসুম নরসিংদী আত্নীয় বাড়ি যাচ্ছিলেন। সিএনজি শিববাড়ি মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি বাস সিএনজিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সিএনজি চালকসহ আরো দুজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা সিএনজি চালককে উদ্ধার করে গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সর্ভিস এসে আগুন নেভায়।
গাজীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘নিহত তাবাসসুমের নানা আজ সকালে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে দুজন অটোরিকশা নিয়ে নরসিংদী যাচ্ছিলেন। পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।’’
আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাসটি আটক করা হয়েছে বলে জানান আশরাফুল ইসলাম।
রেজাউল//