হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাটা চলছে। পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এ ছাড়া জনবল সংকটের এসব প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নয়, জনবল সংকটের প্রভাব দৃশ্যমান উপজেলা শিক্ষা অফিসেও। যার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি ও পর্যবেক্ষণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আজমিরীগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় রয়েছে ৬৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকের ৩৩৬টি এবং প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫টি। এর মাঝে কর্মরত আছেন ৩১৩ জন সহকারী শিক্ষক এবং ৪৬ জন প্রধান শিক্ষক। দুটি পদ মিলিয়ে ঘাটতি ৪৫ জন শিক্ষকের।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে চারজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। এ ছাড়া হিসাব সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহায়কের পদগুলোও দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। উপজেলার একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, পাঠদানের নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা হৈহুল্লোড় করছে। শ্রেণিকক্ষে নেই তাদের অনেকেই। এমন পরিস্থিতি নিয়ে নাখোশ অভিভাবকরা।

অভিভাবক আব্দুল কাইয়ুম জানান, শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে পড়াশোনার তদারকি হচ্ছে না। আর শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে হচ্ছে না সঠিকভাবে পাঠদান। একে তো এই অফিসের সব কাজ চলে ধীরগতিতে, তার ওপর শিশুদের পাঠদানে এমন অবস্থা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। এ জন্য অনেকেই বেসরকারি কিন্ডারগার্টেনে নিয়ে যান সন্তানদের।

রাহিমুল ও মনিরুল মিয়া জানান, শিক্ষক কম থাকার কারণে পর্যাপ্ত ক্লাস হচ্ছে না। যে কারণে শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত। অবসর পেয়ে তারা হইচই করে সময় কাটায়। শিক্ষার্থীরা শ্রেণিশিক্ষক না পেলে এমন করাটা স্বাভাবিক।

সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) হাসিবুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি পদে জনবল থাকলে প্রতি মাসে ৪০টিরও বেশি বিদ্যালয় পরিদর্শন করা যায়। জনবল সংকটের কারণে এখন ১৫টি বিদ্যালয়ের বেশি পরিদর্শন করা যাচ্ছে না। 

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো.

রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি বিভিন্ন সভায় জনবল সংকটের তথ্য উত্থাপন করা হয়েছে। তার পরও জনবল নিয়োগ না হওয়ায় চারজনের কাজ একজন দিয়ে করানো হচ্ছে। এতে কর্মীদের অবমূল্যায়নের পাশাপাশি কাজের মান কমছে। শিক্ষক সংকটের কারণে এক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে প্রেষণে অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে পাঠদান করানো হয়। এভাবে বরং অন্যদেরও সমস্যা বাড়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সহক র সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প: আউটসোর্সিং বাতিল

মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে জনবল নিয়োগে আউটসোর্সিং বাতিল করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ৭ম পর্যায়ের ন্যায় ৮ম পর্যায়ের অনুমোদিত জনবল নিয়োগে অর্থ বিভাগ সম্মতি দিয়েছে। শুধু পাঁচ ক্যাটাগরিতে ২৩টি সেবা আউটসোর্সিংয়ে মাধ্যমে ক্রয়ের জন্য বলা হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর ২৩ অধিশাখা হতে এ সংক্রান্ত পত্র জারি করা হয়েছে।

এ পত্রে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) শীর্ষক এ প্রকল্পের পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালক, পিএ, ফিল্ড সুপারভাইজার, ক্যাশিয়ার কাম হিসাব সহকারী, উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোট ১০ ক্যাটাগরিতে ১২৪টি পদ প্রেষণে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

এ প্রকল্পে সাকুল্য বেতনে সরাসরি নিয়োগের জন্য ১০টি ক্যাটাগরিতে ৬৪০ জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পদগুলো হলো সহকারী পরিচালক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ফিল্ড অফিসার, মাস্টার ট্রেইনার, ফিল্ড সুপারভাইজার, হিসাবরক্ষক, ক্যাশিয়ার, উচ্চমান সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী, স্টোর কিপার ও আরঅ্যান্ডডি ক্লার্ক।

তবে ড্রাইভিং, অফিস কর্ম সহায়ক, ক্লিনার বা সুইপার ও সিকিউরিটি গার্ড এই ৫ ক্যাটাগরিতে ২৩টি পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে সেবা ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিন পদ্ধতিতে মোট ৭৮৭ জনবল নিয়োগে সম্মতি পাওয়া গেছে।

গত ২০ মার্চ ৩৭৬ স্মারকে জারিকৃত এ প্রকল্পের পদ বা জনবল সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের কার্যবিবরণীটি বাতিল করা হয়েছে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরএফএল গ্রুপে বড় নিয়োগ, পদ ২০০
  • বেসরকারি ব্যাংক নেবে অফিসার, স্নাতক পাসে আবেদন
  • ঈদের আগে ১২০ কর্মচারীকে ছাঁটাই করল রাসিক
  • মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প: আউটসোর্সিং বাতিল