টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারকে তাগিদ
Published: 27th, February 2025 GMT
বিশ্ব প্রোটিন দিবস আজ বৃহস্পতিবার। প্রোটিনবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সবার জন্য প্রোটিনের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করবে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরায় বিপিআইসিসির কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিপিআইসিসি সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জনসংখ্যা ২০৪ কোটি, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের স্বল্পতা রয়েছে। এ ঘাটতির কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
ঢাবির পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খালেদা ইসলাম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিনের গুরুত্ব ও এর উৎস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রোটিন ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
ইউএসএসইসি করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের আঞ্চলিক প্রধান দিবা ইয়ানুলিস ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বলেন, আমরা চাই দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ যেন প্রোটিনবিষয়ক সংলাপ, ইভেন্ট ও কার্যক্রমের সঙ্গে আরও বেশি যুক্ত হন। কেবল তাহলেই প্রোটিন গ্রহণের সুফল সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শওকত আলী, বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন নয়, আগের সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে
সংবিধান সংস্কার কমিশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশালের প্রান্তিক প্রতিনিধিরা বলেছেন, নতুন কোনো সংবিধান নয়, সময়ের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে আগের সংবিধানকে সংশোধন করা যেতে পারে। তবে সেটা করতে পারবে একমাত্র নির্বাচিত সংসদ।
গতকাল শনিবার বরিশাল নগরীতে ‘রাষ্ট্র সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সুজন প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোর বিষয়ে মতামত নিতে জেলা ও মহানগর সুজন এ বৈঠক আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুজনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। জেলা, উপজেলা ও মহানগর সুজন প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।
সভায় অংশগ্রহণকারীদের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও সংবিধানের বিদ্যমান ব্যবস্থার কপি দেওয়া হলে তার ওপর আলোচনা করেন। ৯০ সদস্য আলোচনায় অংশ নেন। প্রায় সব আলোচক বিদ্যমান সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রেখে সংবিধান সংশোধন করতে হবে।
সুজনের বরিশাল মহানগরের সভাপতি রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান সংবিধান সমুন্নত রাখার শপথ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এখন নতুন সংবিধান প্রণয়নের কথা বললে সেটা শপথ ভঙ্গের শামিল। সংবিধান অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিক সংসদ সদস্য হতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রীয় পদে থাকতে পারবেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা দ্বৈত নাগরিক। এমনকি সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজও দ্বৈত নাগরিক। তাঁর নেতৃত্বে কমিশন বৈধ নয়।
তবে বানারীপাড়া সুজনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান সোহেল বলেন, আগের দলীয় সরকারগুলোর ব্যর্থতার জন্য ইউনূস সরকারের আবির্ভাব হয়েছে। তাই তাঁর নেতৃত্বেই সংবিধান সংস্কার নিরাপদ হবে।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সারাদেশে তৃণমূলের মতামত নেওয়া হচ্ছে। এসব যথাযথ স্থানে উপস্থাপন করা হবে। জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত নেবে।