ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোট।

গতকাল বুধবার জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার নেতৃত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তারা প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের দোসরদের প্রত্যাহারের দাবিও তোলেন। 

সেলিম ভুঁইয়া বলেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে এমপিও শিক্ষকরা বঞ্চিত। আমরা ভেবেছিলাম, এই সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবির বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে দেখবে। শিক্ষা সংস্কারে কমিশন গঠন করবে। তা না করে এই সরকারও শিক্ষকদের বঞ্চিত করছে। শিক্ষা প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এখনও আওয়ামী লীগের দোসরদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। তারা ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে বদলি-পদায়ন বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা লুট করছেন। 

তিনি বলেন, আসন্ন ঈদের আগেই এমপিও শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দিতে হবে ও প্রতি মাসের ১ তারিখের মধ্যে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এমপিও শিক্ষকদের সরকারি চাকরির মতো একই হারে চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। একযোগে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা অবসরের দিনই পরিশোধ করতে হবে। 

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব এএইচএম সায়েদুজ্জামানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ও শ ক ষকদ র এমপ ও শ ক সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসবের সমাপ্তি

বান্দরবানের রাজার মাঠে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের মধ্য দিয়ে মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান ও প্রাচীনতম উৎসব সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। 

গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলে টানা সাত দিন। উৎসবজুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন, নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বহুমাত্রিক বার্তা। মারমা সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি শুধু আনন্দ ও উদযাপনের নয়, বরং এটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সংস্কৃতির মিলনের এক অনন্য নিদর্শন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। প্রধান অতিথি মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পানি ছিটিয়ে উদ্বোধন করেন। 

এসময় বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

মারমা তরুণ-তরুণীরা বলেন, “মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে পুরাতন বছরের গ্লানি দূর করে নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয়। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আয়োজিত রাজার মাঠে মৈতা রিলং পোয়ে বা মৈত্রী পানি বর্ষণ যেখানে পানি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন সবাই। সাংগ্রাই উৎসব শুধু আনন্দের নয়, বরং সামাজিক বন্ধন, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য রক্ষার প্রতীক। উৎসবের এই আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো পার্বত্য অঞ্চলে।”

সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্যরা বলেন, “সাংগ্রাই উৎসবের বিভিন্ন দিনে ছিল মারমা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-সঙ্গীত, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, তরুণ-তরুণীদের পানি খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের শেষ দিন ছিল সবচেয়ে রঙিন ও প্রাণবন্ত। রাজার মাঠে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকরাও।”

ঢাকা/চাইমং/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আরাকান আর্মির বাংলাদেশের আকাশীমা লংঘ‌নের প্রতিবাদ
  • অনুপ্রবেশ করে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে: জামায়াত
  • ‘বিপ্লবীরা মরে না তারা মৃত্যুঞ্জয়ী’
  • মরতেই যদি হয় বীরের মতো মরব, গাজায় নিহত আলোকচিত্রীর পোস্ট
  • মরতেই যদি হয়, তবে বীরের মতো মরব: মৃত্যুর আগে গাজার আলোকচিত্রীর পোস্ট
  • অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন, ভোট উৎসবে মাতলেন তারকারা
  • ‘মরতেই যদি হয়, তবে বীরের মতো মরব’
  • কান চলচ্চিত্র উৎসবে অ্যালিস
  • ‘পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে তৈরি বস্ত্রের প্রসার করতে হবে’
  • বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসবের সমাপ্তি