প্রতিবেশী পুলিশ কর্মকর্তার হুমকি-ধমকি ও অত্যাচারে পাঁচ দিন দুটি পরিবারের সদস্যরা বাড়ি যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইমাজারী মামুন খলিফা বাড়ির ভুক্তভোগীর পক্ষে আজিজুর রহমান এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম দস্তগীর হোসেন মানিক। তিনি ২০১৭ সালে এসআই (বিপি নম্বর- ৯২১৯২২৩৬৮১) পদে যোগদান করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত।

আজিজুর রহমান জানান, দুই বছর আগে তাদের দুই ভাইয়ের বসতবাড়ির মাঝামাঝি একটি বিরোধপূর্ণ জমি কিনে দোতলা বাড়ি করেন মানিক। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি তাদের বসতভিটাও দখলের চেষ্টা করেন। পুলিশের পোশাক পরে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। এক পর্যায়ে আজিজুরের ভাই মোহাম্মদ শফি গত বছর ১৪ মে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরে আদালতে আজিজুরের বড় ছেলে তারেক আজিজ মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ভূমি অফিসের একটি দল জমি পরিমাপে গেলে মানিকের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন হামলা করে।

আজিজুর দাবি করেন, হামলায় আহত আমার চোখের পাশে ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। আমার ভাই শফি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আমার মেজো ছেলে বোরহান আজিজের মাথায় আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। সবাই যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, তখন মানিক প্রভাব খাটিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর অত্যাচারে আমরা দুই ভাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাঁচ দিন বাড়ি যেতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শফি, মোহাম্মদ নাছির, মোহাম্মদ শিফাত, জোহরা বেগম, শিফা, শাহীন আকতার, শাফিন আকতার ও ছেনোয়ারা বেগম।
অভিযোগ বিষয়ে এসআই মানিকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আজ জ র র

এছাড়াও পড়ুন:

নীলফামারীতে পুলিশ-সেনা সদস্যদের যৌথ টহল অব্যাহত

নীলফামারীতে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ঈদের পরও সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহল ও চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদের পরের দিনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে নীলফামারী সদরের উত্তরা ইপিজেড, সৈয়দপুর বাসটার্মিনাল, শুটকির মোড় ও পাঁচ মাথা মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্সবিহিন মোটরসাইকেল আরোহী, নছিমন, ভটভটি, প্রাইভেটকার ও বাসে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

নীলফামারীতে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওমর ফারুক এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। 

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদ-নিরাপত্তার বিষয়ে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে: তারেক রহমান

এ সময় নীলফামারীর ইপিজেড পয়েন্টে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রশান্ত রায় ও সৈয়দপুর পয়েন্টে এসআই সুজন উপস্থিত ছিলেন।  

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নীলফামারীতে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা সদস্যরা ঈদের পরও নিরলসভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মুল উদ্দেশ্য হলো সচেতনতা বৃদ্ধিসহ মানুষ যেন নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে এবং দুষ্কৃতিকারীদের তৎপরতা সীমিত রাখা যায়।   

সেনাবাহিনী সুত্র জানায়, গত ২ মার্চ থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিভিন্ন ধরনের চেকপোস্ট ও তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ পর্যন্ত দুই উপজেলায় ২৫২টি মামলায় ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারীতে ১৪২টি মামলায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। 

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদার জানান, কার্যক্রমের ফলে জনগণের মাঝে আরো তৎপরতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চেকপোস্টের মাধ্যমে যানবাহনে লাইসেন্স না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া এবং হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহীদের সতর্ক করা হয়। 

এছাড়াও বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হয়। 

ঢাকা/সিথুন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নীলফামারীতে পুলিশ-সেনা সদস্যদের যৌথ টহল অব্যাহত