বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আত্মপ্রকাশ ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর বাংলামোটরে সড়ক অবরোধ করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। এই শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবেন।

আজ বুধবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী বাংলামোটর মোড়ে একপাশের সড়ক অবরোধ করেন। ঘণ্টাখানেক তাঁদের অবরোধের কারণে কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগ অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে সড়ক ছেড়ে দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের সামনে রাস্তার পাশে অবস্থান নিয়েছেন। এরপর কারওয়ান বাজার থেকে শাহবাগের সড়কে আবারও যান চলাচল শুরু হয়েছে। রাত ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও শিক্ষার্থীরা সড়কের পাশে অবস্থান করছিলেন।

সড়ক অবরোধ শেষ করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু। আজ বুধবার রাতে বাংলামোটর মোড়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক অবর ধ ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৫ জন

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের সাতজন আহত ও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়কালী ইউনিয়নের পাকুরদাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহত সাতজনকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ বলেন, আহত সাতজন হাসপাতালে আসেন। তাদের হাত-পা ও মাথায় গভীর ক্ষত ছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে ভর্তি এবং বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

হামলায় আহতরা হলেন– তিলকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক বিশাল, রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, তিলকপুরের নগরকুসুম্বি গ্রামের শাকিল আহম্মেদ, চিয়ারীগ্রাম পাকুরডারিয়া গ্রামের রোজিনা, তিলকপুরের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন, মোহাম্মদপুকুর গ্রামের শাহীন ও তিলকপুর বাজারের রাকিব।

জানা গেছে, তিলকপুর ইউনিয়নের তিলকপুর নেটওয়ার্কের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের কাছ থেকে চিয়ারীগ্রাম পাকুরডারিয়ার সাদ্দাম হোসেন ব্যান্ডউইথ নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কয়েক দিন আগে লেনদেন নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জের ধরে মঙ্গলবার পাকুরডারিয়া মোড়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে চন্দনদীঘি বাজারের একটি দোকানে বসে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমাধান হয়নি। পরে পাকুরডারিয়া তিন মাথা মোড়ে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বেলাল হোসেন, তাঁর ভাই তিলকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক বিশাল, রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। 

বেলাল হোসেনের ভাই সাব্বির হোসেন বলেন, ‘সাদ্দাম তিলকপুর নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ নিয়ে ব্যবসা করছিল। অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় সে আমাদের না জানিয়ে অন্য কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয় সে। মঙ্গলবার বিকেলে আমরা জাফরপুর থেকে চন্দনদীঘি বাজারে ইন্টারনেট তার টানছিলাম। সে আমাদের ৫০০ মিটার তার কেটে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে সাদ্দাম আমার ভাই বেলালকে মারতে আসে। পরে দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।’

রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আহত রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার সময় রাস্তার পাশে শ্যালো মেশিন মেরামত করছিলাম। এ সময় বেলালের লোকজন ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে ১৫-২০ জন এসে তিনমাথা মোড়ে আবু হোসেনের দোকানে ক্যারম খেলা অবস্থায় মুমিনুলকে ধরে এনে রাস্তায় ফেলে মারধর করতে থাকে। আমরা তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও মারধর করে। পরে তারা আবু হোসেনের দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’ 

এ বিষয়ে কথা বলতে সাদ্দাম হোসেনের বাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। 

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তানভীর নেওয়াজ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই আমরা হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেওয়ার আহ্বান করছি প্রশাসনের কাছে।’ 

ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় বেলাল হোসেনের ভাই রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ