রাজধানীর মিরপুরে যাত্রা করেছে আন্তর্জাতিক মানের মাল্টি পারপাস হল ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড (আইসিসিএল)। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুরে দারুস সালাম রোডে টেকনিক্যাল মোড়ে এশিয়া সিনেমা হলের বিল্ডিংটি রূপান্তর করে এই কনভেনশন হলের উদ্বোধন করা হয়।

এ উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট অতিথিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান এবং জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ছিল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ের এশিয়া সিনেমা হলটিকে একটি তিনতলা ভবনে রূপান্তর করে আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু তৈরি করা হয়েছে।

আইসিসিএল’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ সান্যাল বলেন, পাঁচ তারকা মানের আসবাব, লিলেন, সাউন্ড, লাইট, কিচেন, লন্ড্রি, বেকারি বিদেশ থেকে আমদানি করে বিদেশি দক্ষ জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার বর্গফুটের মিলনস্থলটি সাজানো হয়েছে ঢাকার অভিজাত পরিবার এবং করপোরেট ইভেন্টের জন্য। আইসিসিএল সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য  আছে।

উদ্যোক্তা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শামীম বিল্লাহ দাবি করেন, আইসিসিএল একটি ইউনিক ভেন্যু, যা গতানুগতিক কনভেনশন হল থেকে স্বকীয়। এর কিচেনটি দেশের ভেতরে একমাত্র স্টেট অব আর্ট যন্ত্রপাতি দিয়ে সুসজ্জিত; এমনকি ডিস ওয়াশ, মাংস কাটার সব যন্ত্রপাতি অটোমেশন করা। ফলে একটি শতভাগ কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করে হাইজেনিক ও নিরাপদ কিচেন প্রতিষ্ঠানটির অহংকার বটে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা হলের সেটআপ পরিদর্শন করে সন্তোষজনক অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ভালো কনভেনশনগুলো সবই গুলশান, বনশ্রী, ৩০০ ফিটে অবস্থিত। পশ্চিম ঢাকা অর্থাৎ মিরপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডির অভিজাত পরিবারগুলোর জন্য আইসিসিএল হতে যাচ্ছে প্রথম পছন্দ।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনভ নশন

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে সাংগ্রাই উৎসবের সমাপ্তি

বান্দরবানের রাজার মাঠে ‘মৈতা রিলং পোয়ে’ বা মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের মধ্য দিয়ে মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান ও প্রাচীনতম উৎসব সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে। 

গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলে টানা সাত দিন। উৎসবজুড়ে ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজন, নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সামাজিক সম্প্রীতির বহুমাত্রিক বার্তা। মারমা সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি শুধু আনন্দ ও উদযাপনের নয়, বরং এটি পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও সংস্কৃতির মিলনের এক অনন্য নিদর্শন।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। প্রধান অতিথি মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পানি ছিটিয়ে উদ্বোধন করেন। 

এসময় বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। 

মারমা তরুণ-তরুণীরা বলেন, “মারমা জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব সাংগ্রাইয়ের মাধ্যমে পুরাতন বছরের গ্লানি দূর করে নতুন বছরের আগমন উদযাপন করা হয়। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ আয়োজিত রাজার মাঠে মৈতা রিলং পোয়ে বা মৈত্রী পানি বর্ষণ যেখানে পানি ছিটিয়ে শুভেচ্ছা ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন সবাই। সাংগ্রাই উৎসব শুধু আনন্দের নয়, বরং সামাজিক বন্ধন, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্য রক্ষার প্রতীক। উৎসবের এই আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো পার্বত্য অঞ্চলে।”

সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্যরা বলেন, “সাংগ্রাই উৎসবের বিভিন্ন দিনে ছিল মারমা ঐতিহ্যবাহী নৃত্য-সঙ্গীত, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, তরুণ-তরুণীদের পানি খেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের শেষ দিন ছিল সবচেয়ে রঙিন ও প্রাণবন্ত। রাজার মাঠে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকরাও।”

ঢাকা/চাইমং/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ