চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমা সীমাকে পুলিশে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ কিছু লোকজন। আজ বুধবার বিকেলে নগরের গোলপাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, গোলপাহাড় এলাকায় বিক্ষুব্ধ কিছু লোকজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় ওই নেত্রীকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হবে।

শামীমা সীমা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নারীদের গ্রুপ ‘সংগ্রাম’–এর নেতৃত্ব দিতেন। আওয়ামী লীগের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরিও নেন। ৫ আগস্টের পর আর যাননি চাকরিতে।

পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর তিনি গোলপাহাড় এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। আজ সন্ধ্যায় ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বের হলে তাঁকে অবরুদ্ধ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে এসআইর অত্যাচারে ৫ দিন বাড়িছাড়া দুই পরিবার

প্রতিবেশী পুলিশ কর্মকর্তার হুমকি-ধমকি ও অত্যাচারে পাঁচ দিন দুটি পরিবারের সদস্যরা বাড়ি যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বরকল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইমাজারী মামুন খলিফা বাড়ির ভুক্তভোগীর পক্ষে আজিজুর রহমান এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার নাম দস্তগীর হোসেন মানিক। তিনি ২০১৭ সালে এসআই (বিপি নম্বর- ৯২১৯২২৩৬৮১) পদে যোগদান করেন। বর্তমানে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত।

আজিজুর রহমান জানান, দুই বছর আগে তাদের দুই ভাইয়ের বসতবাড়ির মাঝামাঝি একটি বিরোধপূর্ণ জমি কিনে দোতলা বাড়ি করেন মানিক। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি তাদের বসতভিটাও দখলের চেষ্টা করেন। পুলিশের পোশাক পরে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। এক পর্যায়ে আজিজুরের ভাই মোহাম্মদ শফি গত বছর ১৪ মে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরে আদালতে আজিজুরের বড় ছেলে তারেক আজিজ মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলা ভূমি অফিসের একটি দল জমি পরিমাপে গেলে মানিকের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন হামলা করে।

আজিজুর দাবি করেন, হামলায় আহত আমার চোখের পাশে ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। আমার ভাই শফি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আমার মেজো ছেলে বোরহান আজিজের মাথায় আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। সবাই যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, তখন মানিক প্রভাব খাটিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর অত্যাচারে আমরা দুই ভাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাঁচ দিন বাড়ি যেতে পারছি না। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ শফি, মোহাম্মদ নাছির, মোহাম্মদ শিফাত, জোহরা বেগম, শিফা, শাহীন আকতার, শাফিন আকতার ও ছেনোয়ারা বেগম।
অভিযোগ বিষয়ে এসআই মানিকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ