মিরপুরে আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন হল চালু
Published: 26th, February 2025 GMT
রাজধানীর মিরপুরে যাত্রা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মানের মাল্টি পারপাস হল ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার লিমিটেড (আইসিসিএল)। আজ বুধবার সন্ধ্যায় মিরপুরে দারুস সালাম রোডে টেকনিক্যাল মোড়ে এশিয়া সিনেমা হলের বিল্ডিংটি রূপান্তর করে এই কনভেনশন হলের উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে দেশের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট অতিথিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান এবং জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন ছিল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ের এশিয়া সিনেমা হলটিকে একটি তিনতলা ভবনে রূপান্তর করে আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু তৈরি করা হয়েছে।
আইসিসিএল’র নির্বাহী পরিচালক প্রদীপ সান্যাল বলেন, পাঁচ তারকা মানের আসবাব, লিলেন, সাউন্ড, লাইট, কিচেন, লন্ড্রি, বেকারি বিদেশ থেকে আমদানি করে বিদেশি দক্ষ জনবল দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার বর্গফুটের মিলনস্থলটি সাজানো হয়েছে ঢাকার অভিজাত পরিবার এবং করপোরেট ইভেন্টের জন্য। আইসিসিএল সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য আছে।
উদ্যোক্তা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শামীম বিল্লাহ দাবি করেন, আইসিসিএল একটি ইউনিক ভেন্যু, যা গতানুগতিক কনভেনশন হল থেকে স্বকীয়। এর কিচেনটি দেশের ভেতরে একমাত্র স্টেট অব আর্ট যন্ত্রপাতি দিয়ে সুসজ্জিত; এমনকি ডিস ওয়াশ, মাংস কাটার সব যন্ত্রপাতি অটোমেশন করা। ফলে একটি শতভাগ কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করে হাইজেনিক ও নিরাপদ কিচেন প্রতিষ্ঠানটির অহংকার বটে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা হলের সেটআপ পরিদর্শন করে সন্তোষজনক অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ভালো কনভেনশনগুলো সবই গুলশান, বনশ্রী, ৩০০ ফিটে অবস্থিত। পশ্চিম ঢাকা অর্থাৎ মিরপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডির অভিজাত পরিবারগুলোর জন্য আইসিসিএল হতে যাচ্ছে প্রথম পছন্দ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কনভ নশন
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়াকাটায় জলকেলিতে মাতলেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা
পবিত্র জলে গাঁ ভিজিয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই জলকেলি উৎসব।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রী মঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন রাখাইন মার্কেটে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন রাখাইন জনগোষ্ঠী।
আরো পড়ুন:
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রঙে-আলোয় উজ্জ্বল বর্ষবরণ
বর্ষবরণের জলকেলি উৎসব উপলক্ষে নাচে-গানে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। পরে তারা মাঠের মধ্যে রাখা একটি নৌকার পানি একে অপরের শরীরে ছিটিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অং চো বলেন, “কক্সবাজার থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য এসেছি। নাচ, গান আর জলকেলি উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। দিনটি আমাদের দারুন কেটেছে। প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কেরানিপাড়ার রাখাইন তরুণী ম্যাসুয়েন বলেন, “বর্ষবরণ উপলক্ষে দিনভর নানা আয়োজন ছিল। এখানে সব অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বিশেষ করে জলকেলির সঙ্গে নাচ আর গান দারুনভাবে উপভোগ করেছি। এমন আয়োজন করার জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”
কলাপাড়ার ইউএনও রবিউল ইসলাম বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও রাখাইনদের সহযোগিতায় তিন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে। রাখাইনদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”
পটুয়াখালী রাখাইন বুড্ডিস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সরকারি মোজাহার উদ্দিন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফাতেমা হেরেন, কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম ও কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ