চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের হয়ে দুই ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের স্কোর ০ ও ২। মাহমুদউল্লাহ খেলেছেন এক ম্যাচ। ১৪ বলে ৪ রানে আউট হন। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ দুটি ম্যাচ হেরে এই টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকেও পড়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারে ব্যাটিং–ব্যর্থতায় মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। বাজে শট খেলে তাঁরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আউট হওয়ায় বড় স্কোর পায়নি বাংলাদেশ।

মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে তাই আজ রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনেও কথা উঠল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ শেষ ম্যাচ খেলবেন, এমন কোনো আলোচনা ড্রেসিংরুমে হয়েছে কি না?

আরও পড়ুনতাহলে কি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার জন্য বিপিএলই দায়ি১৯ মিনিট আগে

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সমালোচনায় তাঁদের অবসর নেওয়ার গুঞ্জন শুরু হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক সেই গুঞ্জনের প্রসঙ্গ তুলেই প্রশ্নটি করেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনকে। কোচের উত্তর, ‘গুঞ্জন আপনারা যেহেতু শুনেছেন, আপনারাই ফলটা দিয়ে দিয়েন। আমরা তো কোনো কিছু শুনিনি। আপনারা যেহেতু শুনেছেন, আমার মনে হয় আপনারাই পত্রিকার জন্য লিখে দিয়েন। আমরা এখান থেকে কিছু বলতে পারব না। আমরা এমন কিছু শুনিনি।’

রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বিয়েতে গিয়ে বিতর্কে ওসি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে আওয়ামী লীগের এক নেতার মেয়ের বিয়েতে থানার ওসির উপস্থিতি ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে ওসির এমন সখ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন তালুকদারের মেয়ের বিয়ের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার সৈন্যারটেকের একটি কনভেনশন সেন্টারে। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী থানার ওসি মোহাম্মদ শরীফ। প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা হোসেনসহ কর্ণফুলীর থানার ওসি শরীফ স্টেজে ছবি তুলছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

হোসেন তালুকদার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে শুরু থেকে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। সমকাল প্রতিবেদকের হাতে আসা ছবিতে দেখা যায়, গত ৪ আগস্ট উপজেলার মইজ্জারটেকে ছাত্র-জনতাকে রুখতে কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের বিশেষ টিমের কঠোর অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন এ নেতা।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের এ নেতা আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের বিয়েতে গিয়ে ছবি তোলা মানে অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানি করা।

উপজেলা বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এতদিন দেশে দুঃশাসন কায়েম করে মানুষকে সীমাহীন যন্ত্রণার মধ্যে রেখেছিল। আন্দোলন চলাকালে দেশের মানুষের ওপর গুলি ছুড়েছে। ওই সংগঠনের নেতার অনুষ্ঠানে কীভাবে একজন ওসি গিয়ে ছবি তোলেন? তৎকালীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশ দানবে পরিণত হয়েছিল, সেই পিছুটান কি এখনও রয়ে গেছে?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুর উদ্দীনের দাওয়াতে ওই বিয়েতে গিয়েছিলাম। এটা যে আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ের বিয়ে, তা জানতাম না। আমি কয়েক মিনিট ছিলাম। ভাতও খাইনি। ছবি তুলে চলে এসেছি।’ তবে তিনি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘একজন মানুষ কি কোনো বিয়েতে যেতে পারে না?’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নুর উদ্দীন বলেন, ‘হোসেন তালুকদার আমার আত্মীয়। আমার অনুরোধেই ওসি সেখানে গিয়েছিলেন।’ তবে খোঁজ নিয়ে বিএনপি নেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতার সম্পর্কের কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ আছে, ওসি মোহাম্মদ শরীফ কর্ণফুলীতে যোগদানের পর থেকে অভিযান করে ‘চুনোপুঁটি’ আটক করে কৃতিত্ব দেখালেও বড় নেতাকর্মীর সঙ্গে গোপন সম্পর্ক বজায় রাখছেন। নানা সময় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসে উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ী এবং এক ইউপি সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ি থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ