বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নাম কর্ণফুলী টানেল করেছে সরকার। বুধবার সেতু বিভাগ এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

যমুনা নদীর ওপর চার দশমিক আট কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি ১৯৯৮ সালের জুন মাসে এবং চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম টানেল ২০২৩ সালের অক্টোবরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। 

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন চালু হয়। অনেকেই এটিকে যমুনা সেতু নামেই ডাকতেন। এমনকি গুগল ম্যাপেও প্রথম দিকে সেতুটির নাম যমুনা সেতু হিসেবে দেখানো হয়েছিল, যা পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সেতু নামে পরিবর্তিত হয়।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ ফটোসাংবাদিকের বয়ানে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের গল্প

রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করার পর গত তিন বছরে শত শত আলোকচিত্রী সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্র ও অসামরিক বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যুদ্ধের মানবিক প্রভাবের চিত্র ধারণ এবং সংরক্ষণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির পর থেকে বিবিসিতে প্রকাশিত নিজেদের বিভিন্ন ছবির পেছনের গল্প শুনিয়েছেন।

ভ্লাদা ও কোস্টিয়ানটিন লিবেরভ

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে ভ্লাদা ও কোস্টিয়ানটিন লিবেরভ কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরনগরী ওডেসায় প্রতিকৃতি এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি তুলতেন। ভ্লাদা জানান, অল্প সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রেমের গল্পের বদলে ক্যামেরার ফ্রেমে রাশিয়ার ‘যুদ্ধাপরাধের’ দৃশ্য ধারণ করতে শুরু করেন। তিনি শুরু থেকেই তাঁর কাজের ঝুঁকি সম্পর্কে জানতেন। ২০২৩ সালে দোনেৎস্ক অঞ্চলে ভ্রমণের সময় এক বিস্ফোরণে তাঁর শরীরে বোমার কিছু টুকরা ঢুকে যায়। এসব টুকরা বের করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত জানান চিকিৎসকেরা।

২০২৪ সালের গ্রীষ্মে কোস্টিয়ানটিন লিবেরভের তোলা একটি শক্তিশালী ছবি বিবিসিতে প্রকাশিত হয়েছিল। রাশিয়ার কুরস্ক সীমান্তে ইউক্রেনের হামলাসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে ছবিটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এতে দেখা যায়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফেরার পর নিহত সহকর্মীর শোকে ভেঙে পড়েছেন এক ইউক্রেনীয় সেনাসদস্য। তাঁকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছেন তাঁর আরেক সহকর্মী।

লিবেরভের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর মধ্যকার কিছু বিভ্রান্তির প্রতিফলন ঘটিয়েছে ছবিটি। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে আমাদের দেশকে রক্ষা করার চেয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে আক্রমণ চালাতে গিয়ে নিজের বন্ধুকে হারানো খুবই কঠিন। আমি এ ছবিটি তুলেছি কারণ, ঘটনাটি আমার ওপর আবেগঘন প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের পরিস্থিতি এবং এটি তাঁদের জন্য কতটা কঠিন ছিল, সে ব্যাপারে অনেক কথা বলে ছবিটি।’

এ ছবি স্থানীয় ফটোসাংবাদিকদের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। ভ্লাদা বলেন, ‘এটি এতটাই বেদনাদায়ক যে আমরা সহকর্মীরা এ নিয়ে খুব বেশি আলোচনা করি না। আমরা খুব কঠিন পরিস্থিতিতে আছি। কেউ বুঝতে পারছি না, এর সমাধান কী হতে পারে।’

২০২৩ সালে ভ্লাদার তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, আভদিভকা অঞ্চলে রুশ বাহিনী ঢুকে পড়ার আগে শহরটি ছেড়ে যাওয়ার জন্য সেখানকার অবশিষ্ট বাসিন্দাদের একজনকে রাজি করানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছেন ইউক্রেনের হোয়াইট অ্যাঞ্জেলস পুলিশ ইউনিটের এক সদস্য।

আলেকজান্ডার এরমোশেঙ্কোর তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রুশ যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইউক্রেনের মারিওপোল থিয়েটার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খেলাপি ঋণ ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে
  • অপসারণের আলটিমেটামের মধ্যেই এফডিসির এমডিকে ফুল দিয়ে বরণ
  • ইসরায়েলি কারাগারে ৫৯ বন্দি ফিলিস্তিনির মৃত্যু  
  • প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজ উপজেলায় বদলির আবেদন শুরু
  • পাঁচ ফটোসাংবাদিকের বয়ানে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের গল্প
  • প্রাথমিক শিক্ষকদের নিজ উপজেলায় বদলিতে আবেদন শুরু
  • ১১ ম্যাচে ৪, রাচিন রবীন্দ্র এখানে সেঞ্চুরি করতেই আসেন
  • মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে এখনো খেলতে দেখে অবাক দিনেশ কার্তিক
  • সেরা বোলিং ফিগারে ২৭ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ব্রেসওয়েল