অন্তর্বর্তী সরকারের সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নিজের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করেছেন। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজেরে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি এ হিসাব তুলে ধরেন। পোস্টে তিনি ব্যাংক স্টেটমেন্টও যুক্ত করেন।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে তার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। 

তিনি লেখেন, ‘‘২১ আগস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট-২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি-২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি।’’ 

সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ছাড়া অন্য আর কোনো অ্যাকাউন্ট নেই জানিয়ে সদ্য সাবেক এই উপদেষ্টা লেখেন, ‘‘উক্ত হিসাবে ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা জমা হয়েছে। এ ছাড়া নয় লাখ ৯৬ হাজার ১৮১ টাকা উত্তোলিত হয়েছে।’’ 

তিনি বর্ণনা করেন, ‘‘উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।’’ 

এ ছাড়া তার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ-এর হিসাবে ৩৬ হাজার ২৮ টাকা রয়েছে বলে জানান তিনি। নাহিদ ইসলামের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনিও নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করেননি- এমনটাও ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করা হয়। 

যদি কেউ এই তথ্য যাচাই করতে চান, তাহলে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ অনুযায়ী বাংলাদেশের যে কোনো সরকারি দপ্তরে সেটা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। 

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হ দ ইসল ম উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানকে পেছনে ফেলে চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ক্যালিফোর্নিয়া

জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও ইউএস ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ তথ্য জানান অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। খবর বিবিসির

তথ্য অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ১০ ট্রিলিয়ন (লাখ কোটি) ডলার ছুঁয়েছে। যেখানে জাপানের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ০১ ট্রিলিয়ন ডলার। অঙ্গরাজ্যটি এখন কেবল সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। 

নিউসম বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কেবল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। বরং আমরা গতিপথ ঠিক করছি।’ তবে এই উন্নয়নযাত্রা সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। নিউসম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন এবং আইনি লড়াইও শুরু করেছেন। তিনি ২০২৮ সালে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। 

যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন ও কৃষিতে ক্যালিফোর্নিয়ার বড় হিস্যা রয়েছে। পাশাপাশি দেশটির দুই বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরও সেখানেই অবস্থিত। পাল্টা উচ্চ শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত করলেও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। মেক্সিকো ও কানাডার ওপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের সঙ্গে রীতিমতো বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তার পাল্টায় মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, আগের শুল্কের সঙ্গে নতুন শুল্ক যুক্ত হলে কিছু চীনা পণ্যে তা ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। 

শুল্কযুদ্ধের এ পরিস্থিতিতে নিজের অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়েছেন নিউসম। তিনি বলেন, আমরা যখন এই সাফল্য উদযাপন করছি, তখন বর্তমান ফেডারেল প্রশাসনের বেপরোয়া শুল্ক নীতির কারণে আমাদের অগ্রগতি হুমকির মুখে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি জাতিকে শক্তি যোগায় এবং এটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ