তাহলে কি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ব্যর্থতার জন্য বিপিএলই দায়ি
Published: 26th, February 2025 GMT
শুরু আর শেষে একটা মিল রেখে দিল বাংলাদেশ দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে আসার আগে কোচ ফিল সিমন্সের আক্ষেপ ছিল যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আসতে না পারার। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে পিন্ডির আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচে সিমন্সের ডেপুটি সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনও বললেন সে কথাই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ যথাযথ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার অভাব।
আজ বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করতে না পারলেও প্রায় আধা ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে বলা সালাহউদ্দীনের কথায় ফুটে উঠেছে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার ছবিটাই। চাইলে এ কথাগুলো থেকে বের করে নিতে পারেন ব্যর্থতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টও—
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ‘মাহমুদউল্লাহকে দেখে মনে হচ্ছে, ছুটি কাটাতে এসেছে’১ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনার অভাব, প্রস্তুতিতে ঘাটতিচ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে, আর ক্রিকেটাররা বিপিএল শেষ করেছেন ৭ ফেব্রুয়ারি। মাঝে দেশে নামমাত্র অনুশীলন হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচ একটাই, সেটাও দুবাইয়ে এসে। এ নিয়ে সালাহউদ্দীনের হতাশা, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড যে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে, এটা নিশ্চয়ই এক বছর আগে ঠিক করেছে। বড় টুর্নামেন্টের আগে হোম গ্রাউন্ডে এসে তিনটি ম্যাচ খেলার চেয়ে বড় প্রস্তুতি আর কিছু হতে পারে না।’ সালাহউদ্দীন এর জন্য সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও বলেছেন, ‘যারা ম্যানেজমেন্ট আছে, তাদেরকে এটা নিশ্চিত করতে হবে। বিপিএল যদি ১৫ দিন আগে শেষ করা যেত, তাহলেই হয়তো প্রস্তুতি নেওয়া যেত।’ খেলোয়াড়দের আগলে রেখে তিনি বলেছেন, টুর্নামেন্ট বা সিরিজের আগে যথাযথ প্রস্তুতিটা নিশ্চিত করতে হবে বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্টকেই। সঙ্গে খেলোয়াড়দেরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘মানিয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে কীভাবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, সেটা শিখতে হবে।’
নিউজিল্যান্ডের কাছে সর্বশেষ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন ল দ শ দল
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী রাস্তার ওপর সবজি চাষ আওয়ামী লীগ নেতার
চারঘাটের সরদহ ইউনিয়নের খোর্দগোবিন্দপুর মাঠপাড়ার গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে শত বছর ধরে গ্রামের মানুষ চলাচল করছেন। রাস্তাটি পাকা করতে দরপত্রও করা হয়েছে। সেই রাস্তার জমি নিজের দাবি করে পটোল রোপণ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী। এতে মানুষের চলাচল ও মাঠের ফসল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এক যুগে কয়েক দফা কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় শতবর্ষী মাটির রাস্তাটির সংস্কার করা হয়। উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ থেকে রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দরপত্র হয়েছে। এর মধ্যে পাশের জমির মালিক সমজান আলী শ্রমিক দিয়ে রাস্তা কেটে ফসলি জমি বানিয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও গত পাঁচ আগস্টের পর থেকে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের সঙ্গে চলাফেরা করছেন।
সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, দৈর্ঘ্যে ১২০ ফুট ও প্রস্থে ৪ ফুট অংশ কেটে নিজের জমির সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন সমজান আলী। সেখানে পটোল রোপণ করা হয়েছে। ১৩ ফুট প্রস্থের সড়ক থেকে আরও ৪ ফুট কেটে নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের জানিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় প্রকৌশল বিভাগের রাস্তা পাকাকরণ কাজ অনিশ্চয়তায় পড়েছে। স্থানীয়রা বাধা দিলেও রাস্তা কাটা বন্ধ না করে উল্টো হুমকি দেন সমজান আলী।
স্থানীয় ষাটোর্ধ্ব রেজাউল করিম বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দরপত্র হয়েছে। এখন সেই রাস্তার বেশির ভাগ অংশ নিজের দাবি করে কেটে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সমজান আলী।
নাইমুর রহমান বলেন, বাবা-দাদা সবাই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছেন। এখন শত শত মানুষের চলাচল। মাঠপাড়ার ফসল ভ্যান, ট্রলি ও মিনি ট্রাকে করে এই রাস্তা দিয়ে বাজারে নেওয়া হয়। কাউকে কিছু না জানিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলা হলো। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।
সমজান আলী বলেন, রাস্তার বেশির ভাগ অংশই আমার জমিতে। এ জন্য কিছু অংশ কেটে নিয়েছি। শুধু আমি রাস্তায় জমি দেব– তা হবে না। অন্যদেরও দিতে হবে। জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি বলেন, কাগজপত্র এখন কাছে নেই। তবে স্থানীয় আমিন সুবল চন্দ্র ছয় মাসে দুই দফা জমি পরিমাপ করেছে। মাপ অনুযায়ী রাস্তার বেশির ভাগ অংশ আমার জমিতে পড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
স্থানীয় আমিন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র বলেন, জমিটি দেড় থেকে দুই বছর আগে পরিমাপ করেছি। কিছু অংশ রাস্তার ভেতরে ছিল। রাস্তাটি এখন সরকারি সম্পদ। তাই সমজান আলী জমি নিতে পারবে না– এ তথ্য তাঁকে জানানো হয়েছিল।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শুনানির নোটিশ করা হয়েছে। কাগজপত্র নিয়ে সমজান আলীকে আসতে বলা হয়েছে। তবে কোনো জমি ব্যক্তির সম্পত্তি হলেও ২০ বছর সেখানে মানুষজন হাঁটলেই তা সরকারি হয়ে যাবে।