Risingbd:
2025-02-26@19:46:26 GMT

জাতীয় উদ‍্যান লাউয়াছড়ায় আগুন

Published: 26th, February 2025 GMT

জাতীয় উদ‍্যান লাউয়াছড়ায় আগুন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হীড বাংলাদেশের টিলা ভূমি ও লাউয়াছড়া বনে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আগুন লাগার পর প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আগুন নেভান বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। 

প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে প্রায় দুই একর জায়গা পুড়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হীড বাংলাদেশের পশ্চিমে টিলা ভূমিতে দুপুরে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরবর্তীতে লাউয়াছড়া বনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে হীড বাংলাদেশের টিলা ভূমি ও লাউয়াছড়া বনের প্রায় দুই একর জায়গা পুড়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।

স্থানীয়রা জানান, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বনে আগুন লাগিয়েছে। এই আগুনে বনের প্রাণিরা ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে। অনেক প্রাণি মারা যাবে। প্রাণিদের আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া বনের গাছ-গাছালি, লতাপাতা পুড়ে গেছে।

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো.

ফারুকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।”

এ বিষয়ে লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে হীড বাংলাদেশের জায়গায় আগুন লাগে। পরে আগুন লাউয়াছড়া বনের প্রায় এক একর জায়গা পুড়ে যায়। বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কীভাবে আগুন লেগেছে তা এখনও জানা যায়নি।”

ঢাকা/আজিজ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বদলী বাণিজ্যের অভিযোগে ফাঁসছেন চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক

চট্টগ্রাম বন অঞ্চলের ১০টি বন বিভাগের ৭৭ জন বনকর্মকর্তা-কর্মচারীকে একযোগে বদলী এবং এসব বদলীর বিপরীতে অন্তত ১০ কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধানে ফেঁসে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম। 

দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এই বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বদলী পদায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন ফাইল জব্দ করেছে। পাশাপাশি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলী হয়েছেন এবং বিভিন্ন লোভনীয় পোস্টিং পেয়েছেন তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক।

জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক হিসেবে বদলী হন মোল্যা রেজাউল করিম। চট্টগ্রামে দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাসের মধ্যেই গত ৯ জানুয়ারি এক অফিস আদেশে তার অধীনস্থ ১০টি বন বিভাগের অন্তত ৭৭ জন বনকর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্নস্থানে বদলী ও পদায়ন করেন। 

অভিযোগ রয়েছে, একাধিক বন কর্মকর্তাকে লোভনীয় পোস্টিং দেওয়ার বিনিময়ে বন সংরক্ষক অন্তত ১০ কোটি টাকার বদলী বাণিজ্য করেছেন।

দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান বলেন, “চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো। বদলী বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন করেছেন বলে আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ যাছাই-বাছাইয়ের লক্ষ্যে গতকাল সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর নন্দনকাননস্থ চট্টগ্রাম বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে দুদকের আভিযানিক টিম অভিযান পরিচালনা করেছে।”

সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান বলেন, “আমরা বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমকে প্রায় তিন ঘণ্টা নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার কাছ থেকে সম্প্রতি বদলী পদায়নের বিভিন্ন ফাইল নথিপত্র জব্দ করেছি। আরও কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে, সেগুলো আজ বা কাল পাওয়া যাবে। সবকিছু যাছাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” 

দুদক কর্মকর্তারা জানান, মোল্যা রেজাউল করিম যোগদান করার পর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলী পদায়ন করা হয়েছে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হবে।

অভিযোগ ও দুদকের অভিযান প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, “বন বিভাগের নীতিমালা অনুসরণ করেই সবগুলো বদলী পদায়ন হয়েছে। বদলি বাণিজ্যের অভিযোগ সত্যি নয়। দুদকের পক্ষ থেকে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে সেগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বদলী বাণিজ্যের অভিযোগে ফাঁসছেন চট্টগ্রামের বন সংরক্ষক