লক্ষ্মীপুরের ৪ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
Published: 26th, February 2025 GMT
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে নিজেদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্র শিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ।
প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে, উপজেলা জামায়াতের আমির নাজমুল হাসান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনে জেলা জামায়াতের আমির এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড.
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকেই নির্বাচন করার লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে জামায়াত ইসলামীর প্রার্থীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর- ১, ২, ৩ ও ৪ আসনে ভোট করার লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মীরা কাজ করছে। আজ লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কাজ করার সুযোগ বাড়বে।
দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে জেলা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবীর মুরাদ বলেন, “গোপন ব্যালটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সংগঠন তৃণমূলের মতামত নিয়ে কেন্দ্রের পার্লামেন্টারিয়ান বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রার্থী সিলেকশন করা হয়েছে। নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পর কেন্দ্র চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি বুধবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে—ঢাকা মহানগর পুলিশের এমন সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট শুনানির জন্য আগামী বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপন করা হলে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই দিন ধার্য করেন।
৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় আসামি গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এই আদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন। আজ সকালে আদালতে রিটের বিষয়টি উত্থাপন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রিট আবেদনকারী মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে রিট২২ ঘণ্টা আগেপরে আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রিটের বিষয়টি উত্থাপন করা হলে আদালত ২৩ এপ্রিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ৯ এপ্রিলের অফিস আদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, ডিবি প্রধান, সিআইডি প্রধান, এসবি প্রধানসহ সাতজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুনবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে১২ এপ্রিল ২০২৫