শেরপুরে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, আহত ২
Published: 26th, February 2025 GMT
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে শেরপুরে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত জাকারিয়া বাদল (৪৭) সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকা সোহাগ আলম ও রুহুল নামে আরও দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদের মধ্যে সোহাগের অবস্থা সংকটাপন্ন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কামারিয়া ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে জাকারিয়া বাদলের দ্বন্দ্ব ছিল। কিছুদিন আগে বিএনপির এক সভায় এ বিরোধ প্রকাশ্যে আসে। এরপর দ্বন্দ্ব আরও বাড়ে।
তারা আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভীমগঞ্জ বাজারে সংগঠনের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাকারিয়াসহ তিনজন একটি মোটরসাইকেলে শেরপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার কাছে তাদের ওপর হামলা চালায় লুৎফর রহমানের লোকজন। তারা জাকারিয়ার পাশাপাশি সোহাগ ও রুহুলকেও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ওই সময় আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা সটকে পড়ে। পরে আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে জাকারিয়া ও সোহাগের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাকারিয়া বাদল।
বাদলের আত্মীয় ছাত্রদল কর্মী রমজান আলী বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভীমগঞ্জ মাদ্রাসার কাছে অস্ত্রধারীরা অবস্থান নিয়েছিল। সেখানে আসার পর তারা মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে জাকারিয়া বাদলসহ তিনজনকে কোপাতে থাকে। ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফর রহমানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শেরপুরের পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ভীমগঞ্জ এলাকায় যৌথ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হত্যায় জড়িতদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে ভোগান্তিবিহীন ঈদযাত্রা, কোনো সড়কে যানজট নেই
যানবাহনের চাপ বাড়লেও এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষকে ময়মনসিংহে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দীঘারকান্দা বাইপাস ও নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় হয়ে নেত্রকোনা, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার সাতটি উপজেলার মানুষ ঘরে ফেরেন। আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে উত্তরবঙ্গসহ অন্যান্য জেলার বাসও ছেড়ে যায়। এই বাস টার্মিনাল ও ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর পাটগুদাম সেতু এলাকায় নিত্যদিনের যানজটের ভোগান্তি ঈদের সময় আরও বেড়ে যায়। কিন্তু আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাটগুদাম ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহন বাড়লেও সেতু এলাকায় যানজট নেই। দ্রুত যানবাহন গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।
এ সময় কথা হয় গাজীপুর থেকে নেত্রকোনার বারহাট্টায় যাওয়া হাসানুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবছর ঈদে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় পাড়ি থেকে দীর্ঘ সময় যানজটে বসে থাকতে হতো। এবার যানজট নেই বললেই চলে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহ নগরের দীঘারকান্দা বাইপাস এলাকা হয়ে জামালপুর জেলা, ময়মনসিংহে ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা উপজেলা বাসিন্দারা চলাচল করেন। আজ বেলা একটার দিকে দীঘারকান্দা বাইপাস এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দীর্ঘ যানজট নেই। যানবাহনের চাপ বাড়ায় কিছু সময় পরপর কিছু গাড়ি আটকে গেলেও তা মিনিট দশেকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাচ্ছে। অন্য বছরের ঈদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই অংশেও দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হতো বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে অন্যদের সঙ্গে মুক্তাগাছা ফিরছিলেন সালমা বেগম। পেশায় পোশাককর্মী এই নারী বলেন, ‘পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। খোলা পিকআপ ভ্যানে রোদে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে। কিন্তু এবার যানজট নেই অন্য বছরের তুলনায়।’
ময়মনসিংহ ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু নাছের মো. জহির বলেন, ‘এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষকে ভোগান্তিমুক্ত রাখতে ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা পুলিশ মিলে মাঠে কাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা সড়কে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। যার কারণে সড়কে কোথাও যানজট নেই।’