ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি: ইসি আনোয়ার
Published: 26th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডিসেম্বরকে সামনে রেখেই নির্বাচনের সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করছি এবং বিশ্বাস করি ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব হবে।’
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ইতোমধ্যে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখন পুরোদমে রেজিস্ট্রেশন চলছে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে যে, সারারাত এই কাজ করতে হচ্ছে। আমরা সাড়া পাচ্ছি। এই দেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী বলেই উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ভোটার হওয়ার জন্য নতুন ভোটাররা কষ্ট করছেন।’
জাতীয় নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনটি আগে হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনোরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় নির্বাচন বলতে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, জেলা পরিষদ নির্বাচন এই সবগুলো নির্বাচন যদি আমরা শুরু করি, তাহলে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। তাহলে আমাদের যে সময়ের ঘোষণা ডিসেম্বরের ভেতরে যদি করতে চাই। তাহলে এই টাইমলাইনের ভিতরে থাকা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করার মতো পরিবেশ আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই পাবো। আসন বিন্যাসের কাজটি কঠিন কাজ। ৪০০ এর মতো আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। সে আবেদনগুলো নিস্পত্তি করতে হলে বর্তমান বিদ্যমান ডিলেমেশন আইন সংশোধন করতে হবে এবং সেই আইন সংশোধনের উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আইন সংশোধন হলে পরে আমরা কাজটি করবো।’
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে এতে আরও অংশ নেন পুলিশ সুপার মোহম্মদ শামসুল আলম সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মৌসুমী মাহবুব, জেলা নির্বাচন অফিসার মো.
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ড স ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন ছাত্রসংগঠনের যাত্রা শুরু, পদ নিয়ে বিক্ষোভ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে গঠিত নতুন ছাত্রসংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী আবু বাকের মজুমদার। সদস্যসচিব করা হয়েছে আরেক সাবেক সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ আহসানকে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে গতকাল বুধবার নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি স্লোগান, বিক্ষোভ, ধস্তাধস্তি এবং পরে অন্তত দুই দফা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মারামারিতে আহত অন্তত দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিশু আলী ও আকিব আল হাসান।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁরা নতুন ছাত্রসংগঠনের কমিটিতে তাঁদের ‘সঠিক প্রতিনিধিত্ব’ চান। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছিলেন, কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশীদকে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার দাবি করছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত রশীদকে নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব করা হয়েছে।
এদিকে নতুন ছাত্রসংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, মুখ্য সংগঠক হিসেবে তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী ও মুখপাত্র পদে আশরেফা খাতুনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির আহ্বায়ক পদে আবদুল কাদের, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে লিমন মাহমুদ হাসান, সদস্যসচিব পদে মহির আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আল আমিন সরকার, মুখ্য সংগঠক পদে হাসিব আল ইসলাম ও মুখপাত্র পদে রাফিয়া রেহনুমা হৃদিকে মনোনীত করা হয়।
নতুন ছাত্রসংগঠনের নেতারা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হট্টগোলের মধ্যে সংগঠনের উদ্দেশ্য, নীতি ও ভবিষ্যৎ কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি। তবে বিগত কয়েক দিনে তাঁরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, নতুন ছাত্রসংগঠনের নীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’। ছাত্র-নাগরিকের স্বার্থ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবেন তাঁরা। নতুন ছাত্রসংগঠন কারও লেজুড়বৃত্তি করবে না। কোনো ‘মাদার পার্টির’ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে না।
আবু বাকের মজুমদার ও জাহিদ আহসান