করোনা মহামারির পর প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছেন একদল বিদেশি পর্যটক। গত পাঁচ বছরে রাশিয়ার একদল পর্যটক ছাড়া আর কোনো বিদেশি দেশটিতে প্রবেশ করেননি। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে, উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প ফের চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশটি প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে চাচ্ছে, যা তার সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। 

বেইজিংভিত্তিক ট্রাভেল কোম্পানি কোরিও ট্যুরস জানিয়েছে, তারা ২০ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী রাসন শহরে ১৩ জন বিদেশি পর্যটকের পাঁচ দিনের সফরের ব্যবস্থা করেছে। রাসনে উত্তর কোরিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল অবস্থিত। এপি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ি

চট্টগ্রাম নগরে জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ির ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গতকাল বুধবার বিকেলে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ঘটনাস্থলের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরায় ধারণ করা। ভিডিওতে দেখা গেছে, সাত থেকে আটজন যুবক দৌড়াদৌড়ি করছেন। এর মধ্যে পিস্তল হাতে ছিলেন দুজন এবং একজনের হাতে রয়েছে শটগান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র যুবকদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। তাঁরা হলেন স্থানীয় মো. দেলু, মো. জহির, টিপু তালুকদার, মো. উজ্জ্বল, হাসান সাগর ও মো. করিম। এর মধ্যে হাসান সাগর ও টিপু তালুকদারের হাতে পিস্তল এবং শটগান হাতে মো. করিম দৌড়াচ্ছেন। তাঁরা সবাই ‘সন্ত্রাসী’ সাইফুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে সাইফুলকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁর ভাই সবুজ বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সব ষড়যন্ত্র।

ঘটনার ভুক্তভোগী মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার একটি জায়গা ইলিয়াস নামের একজন এত দিন দখল করে রেখেছিলেন। জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে আড়াই লাখ দেওয়ার পর এখন আরও আড়াই লাখ টাকা দাবি করছেন। সরকার পতনের পর ইলিয়াস সরে গেলেও “সন্ত্রাসী” সাইফুল আলমের অনুসারীরা তা দখল করতে আসেন। ওই সময় তাঁদের প্রতিরোধ করতে আসেন ইলিয়াসের লোকজন।’

মনির হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর আগে সন্ত্রাসীরা চলে যান। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছি।’

জানতে চাইলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েও কাউকে পায়নি। ঘটনায় জড়িত ব৵ক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে একদল যুবকের দৌড়াদৌড়ি