নিউজিল্যান্ডের মানাকি বৃত্তি, আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ হলে করুন আবেদন
Published: 26th, February 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড এখন বিদেশে শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি গন্তব্য হয়ে উঠছে। এর নানা কারণও রয়েছে। উচ্চশিক্ষার নানা সুযোগ এবং বসবাসের উপযোগী হওয়ায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। দেশটিতে কেউ কেউ বৃত্তি নিয়ে, কেউবা নিজ খরচে পড়তে যান। দেশটিতে পড়ার জন্য একটি বৃত্তি হলো মানাকি বৃত্তি। নিউজিল্যান্ড সরকারের মানাকি বৃত্তির আবেদন চলছে। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। দেশটির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বৃত্তির অর্থায়ন করে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির আওতায় দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুনচীনের এআইআইবি গ্লোবাল ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম, দিনে ৯০ ডলারের সঙ্গে নানা সুযোগ১৩ ঘণ্টা আগেসুযোগ-সুবিধা—মানাকি বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত
উপবৃত্তি হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে ৫৩১ নিউজিল্যান্ড ডলার পাবেন
আবাসন, পাঠ্যপুস্তক বা অধ্যয়ন উপকরণ কিনতে ভাতা ৩০০০ নিউজিল্যান্ড ডলার
স্বাস্থ্যবিমা ও ভ্রমণ ভাতা
বিমানে নিজ দেশে যাতায়াতের খরচ।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা—অকল্যান্ড প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসি বিশ্ববিদ্যালয়, অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যান্টারবেরি বিশ্ববিদ্যালয়, ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েলিংটনের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সাউদার্ন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ইউনিটেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর কোন পরীক্ষা কবে২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদনের যোগ্যতাপ্রার্থীদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে;
৪০ বছরের বেশি বয়স হলে আবেদনের প্রয়োজন নেই;
অবশ্যই প্রাসঙ্গিক কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
ইংরেজি ভাষার অভিজ্ঞতা সনদ দেখাতে হবে;
আইইএলটিএস স্কোর ৬.
* অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। আবেদনের পদ্ধতি ও আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুন২০২৫ সালের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা প্রকাশ, ছুটি ৭৮ দিন০৫ জানুয়ারি ২০২৫আবেদনের শেষ দিন২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আরও পড়ুনবাংলাদেশি চিকিৎসক ও নার্সদের আয়ারল্যান্ডে ক্যারিয়ারের সুযোগ, পরীক্ষা তিনটি ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রত্যাশাতীত প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সময় দেশটিতে মানুষের ভোগ যেমন বেড়েছে, তেমনি শিল্পোৎপাদনও বেড়েছে। যদিও দেশটির নীতিনির্ধারকেরা ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই শুল্ক গত কয়েক বছরে চীনের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল তা স্থগিত করেন। কিন্তু চীনের শুল্ক স্থগিত করেননি তিনি। শুধু তাই নয়, চীনের পণ্যে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন। চীনও মার্কিন পণ্যে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করেছে ১২৫ শতাংশ।
চীনের সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বছরের প্রথম অর্থাৎ জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার ছিল যে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ১ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকেও চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
তবে চীনের প্রবৃদ্ধি এই গতি থাকবে না বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। ওয়াশিংটনের উচ্চ শুল্কের কারণে চীনের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি অর্থাৎ রপ্তানি মার খাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ফলে চীনের নেতারা বড় ধরনের চাপে পড়বেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি মার খেলে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং অনেক মানুষের চাকরি যাবে, এই পরিস্থিতি সামলানো নেতাদের পক্ষে কঠিন হয়ে যাবে।
সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রকৃতি কিছুটা অসম। বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে এবং কারখানার কার্যক্রমেও এসেছে গতি; কিন্তু বেকারত্বের উচ্চহার ও মূল্যহ্রাসের কারণে চাহিদা নিয়ে শঙ্কা আছে।
মার্চে চীনের রপ্তানি বৃদ্ধির পেছনে কিছু কাঠামোগত কারণ আছে। বিষয়টি হলো, ট্রাম্পের শুল্কের হাত থেকে বাঁচতে চীনের রপ্তানিকারকেরা মার্চে দ্রুততার সঙ্গে অনেক পণ্য জাহাজিকরণ করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, শুল্ক–ঝড়ের প্রভাব অনুভূত হওয়ার আগে চীনের জিডিপির পালে কিছুটা হাওয়া লেগেছে। মূলত অভ্যন্তরীণ চাহিদার বেড়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েক বছর ধরেই চীনের প্রবৃদ্ধির গতি কম। অর্থনীতি চাঙা করতে চীনের সরকার বেশ কয়েকবার প্রণোদনা দিয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সেই প্রণোদনা অনেকটা কাজে আসছে। কিন্তু যেভাবে ট্রাম্প চীনের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে যাচ্ছেন, তাতে আরও প্রণোদনা প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা।
আগের প্রান্তিকের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, আগের প্রান্তিকের তুলনায় বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ; অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে যা ছিল ১ দশমিক ৬ শতাংশ। মার্চে দেশটির খুচরা বিক্রয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ; জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল ৪ শতাংশ।
এদিকে রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৪ সালে যেখানে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশ। চলতি বছর চীনের সরকারি পূর্বাভাস ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। অর্থাৎ দেশটি সেই লক্ষ্যমাত্রা এবার অর্জন করতে পারবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়।
এদিকে বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ইউবিএস ২০২৫ সালে চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও আগের তাদের পূর্বাভাস ছিল ৪ শতাংশ। মূলত শুল্ক–যুদ্ধের প্রভাব বিবেচনা করে তারা প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করেছে।