গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) আন্তঃবিভাগ টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-২০২৫ এ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছে হয়েছে গণিত বিভাগ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে আন্তঃবিভাগ টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। প্রথম ইনিংসে ১০ ওভার ৭৩ রানের টার্গেট দেয় তারা। জবাবে ৮ ওভার ৩ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে ১ ওভার ৩ বল হাতে রেখেই জয়সূচক ৭৩ রান তুলে নেয় গণিত বিভাগ। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন গণিত বিভাগের মো.

ইয়াসিন আরাফাত এবং ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন একই বিভাগের মাহমুদুল মুহিব।

ম্যাচ শেষে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান, সহকারী প্রক্টর ও  ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. রাজিউর রহমান, শরীর চর্চা দপ্তরের সহকারী পরিচালক বাবুল মণ্ডল প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, “খেলায় হারা বা জেতা নয়, অংশগ্রহণ করাই বড় কথা। যদিও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শারীরিক শিক্ষা বিভাগ বা ক্রীড়া কোটায় ভর্তি হয় না। তারপরও আশা করি এখান থেকে তারা জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ তৈরি করে নেবে। আমাদের কৃতি শিক্ষার্থীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করবে, যাতে আমরা তাদের নিয়ে গর্ব করতে পারি।”

এর আগে, ২০২২ সালে আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গণিত বিভাগ।

ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণ ত ব ভ গ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভারত ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিন ভারতীয় এবং দুই চীনা শিক্ষার্থী। হাজারো শিক্ষার্থীর এফ-১ ভিসা বাতিলের ঘটনায় এ মামলা করেছেন তারা। একই অভিযোগে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এবং অন্যান্য অভিবাসন কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে।

এনডিটিভি জানায়, আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিউ হ্যাম্পশায়ারের মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এ মামলা দায়ের করেছে। মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে হাজার হাজার বিদেশি শিক্ষার্থীর এফ-১ শিক্ষার্থীর মর্যাদা বাতিল করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চের শেষ দিক থেকে ১৭০টির বেশি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের  ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হয়েছে অথবা তাদের আইনি মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবৃতি এবং স্কুল কর্মকর্তাদের সঙ্গে আদান-প্রদান করা চিঠিপত্রের পর্যালোচনা অনুসারে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীরা শুধু প্রত্যাবাসন বা ভিসা বাতিলের হুমকিই নয়, বরং ‘গুরুতর আর্থিক ও শিক্ষাগত সমস্যার’ সম্মুখীন হচ্ছেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের আইনি মর্যাদা বাতিল করার আগে সরকার প্রয়োজনীয় নোটিশ দেয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন চীনা নাগরিক হাংরুই ঝাং ও হাওয়াং আন এবং ভারতীয় নাগরিক লিংকিত বাবু গোরেলা, থানুজ কুমার গুম্মাডাভেলি ও মণিকান্ত পাসুলা। হাংরুইয়ের এফ-১ ভিসা মর্যাদা বাতিলের কারণে তাঁর গবেষণা সহকারীর পদ বাতিল হয়ে গেছে। হাওয়াং এরই মধ্যে প্রায় সোয়া তিন লাখ ডলার পড়াশোনার পেছনে খরচ করার পরও তাঁর ডিগ্রি ত্যাগ করতে হতে পারে। 

২০ মে গোরেলার ডিগ্রি শেষ করার কথা। কিন্তু বৈধ এফ-১ ভিসা ছাড়া তিনি তা করতে পারবেন না বা অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের কর্মসূচিতেও অংশ নিতে পারবেন না। ডিগ্রি পেতে গুম্মাডাভেলি এবং পাসুলার আরও এক সেমিস্টার বাকি। 

ট্রাম্প প্রশাসন শিক্ষার্থীদের ভিসা নীতি কঠোর করার ফলে আন্তর্জাতিক ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলোর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ চীনা ও ভারতীয়।

বিবিসি জানায়, কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বহু বিদেশি শিক্ষার্থীর সামাজিক মাধ্যমের টাইমলাইনে বারবার চোখে পড়ছে এক দৃশ্য— সাদা পোশাকে এজেন্টরা হঠাৎ এসে শিক্ষার্থীদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন ডিটেনশন সেন্টারে। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ নেই। বরং ধারণা করা হচ্ছে, এসব শিক্ষার্থীকে টার্গেট করা হচ্ছে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে। 

ট্রাম্প প্রশাসন একাধিকবার জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দেওয়া ভিসা ‘বিশেষ অধিকার’, যেটি যে কোনো সময় বাতিল করা যেতে পারে। তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, এই দমন অভিযান শুধু কয়েকজন নন, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এক হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী বা সদ্য গ্র্যাজুয়েটদের ভিসা বাতিল বা আইনি অবস্থান পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইনসাইড হায়ার এডের একটি ট্র্যাকার।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ