সরকার টিকে আছে জনগণের সমর্থনে: আসিফ মাহমুদ
Published: 26th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, সরকার টিকে আছে জনগণের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও সহযোগিতায়।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
পোস্টে উপদেষ্টা লেখেন, এই সরকারের ব্যর্থতা হলো কাউকে ম্যানেজ না করে চলা। আওয়ামী পুনর্বাসনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে আগ্রহী ডিপ স্টেট এবং উত্তরপাড়া অথবা পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের আধিপত্য কায়েমের আকাঙ্ক্ষা। কোনোটাকেই এই সরকার এখন পর্যন্ত প্রশ্রয় দেয়নি। ফলে ভেতর-বাইর থেকে অসহযোগিতা তো আছেই।
তিনি আরও লেখেন, সরকার টিকে আছে জনগণের প্রত্যক্ষ সমর্থন এবং সহযোগিতায়। যতদিন জনগণের প্রতি আনুগত্য, জনবান্ধব কাজ করার সৎ নিয়ত থাকবে জনগণ সমর্থন দিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
রমজানের আগেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই: হারুন অর রশিদ
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুন অর রশিদ বলেছেন, রমজানের আগেই নির্বাচনের রোডম্যাপ চাই। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে বলবো, জনগণের জানমাল রক্ষায় কাজ করুন। ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ করুন। তা না হলে প্রয়োজনে থানা ঘেরাও করবো, এসপি অফিস ঘেরাও করবো। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। এতে দেশ ভালো থাকবে, জনগণ ভালো থাকবে।
সোমবার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের পৌর শহীদ মিনারে আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হারুন অর রশিদ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার দেশে আয়নাঘর তৈরি করেছিল। হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে গুম করেছে। বিনা বিচারে হত্যা করেছে। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আল্লাহর পক্ষ থেকে ফয়সালা হয়েছে। দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আমরা যখন ৯৬ সালে নির্বাচনে এসেছিলাম, তখন জামায়াত ইসলামী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগ দিয়ে জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছিল। তারা মোনাফেকি করেছে। তারা মোনাফেক দল।
তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেছেন। সেদিন সারাদেশে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নাম-নিশানা নিশ্চিহ্ন হয়েছে। এখনো তাদের দোসররা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। হাটেঘাটে চাঁদাবাজি চলছে। পুলিশ প্রশাসন এসব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। আমরা আপনাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে, আপনারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
আমরা রমজানের পূর্বে সারাদেশে সমাবেশ করছি। দেখুন, সমাবেশে জনতার ঢল নেমেছে। এখন জনতার আকাঙ্ক্ষা, দ্রুত বাংলাদেশে একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা। নির্বাচনের ঘোষণা আসলেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনমুখী হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠিত হবে, সরকার গঠিত হবে। তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আরেকটি রাজনৈতিক দলের কথা না বললেই নয়। আমি নাম নিয়ে বলছি জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সাল থেকে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তাদের দায়িত্ব এবং ভূমিকা সবসময় বিতর্কিত।
আপনারা ইতোমধ্যে নিজেদের যথেষ্ট বিতর্কিত করে ফেলেছেন। আপনারা উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা ক্ষমতায় থেকে দল গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি যদি করতে চান, এদেশের জনগণ তা গ্রহণ করবে না। নতুন দল তৈরি হোক, জনগণ গ্রহণ করলে আপত্তি নেই আমাদের। কিন্তু এদেশে গত ৪০ বছরে প্রমাণ হয়েছে, যখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, তখনই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি ম্যান্ডেড নিয়ে বিজয়ী হয়েছে, ক্ষমতায় গিয়েছে। সুতরাং ষড়যন্ত্র করবেন না। ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করলে, ক্ষমতায় থেকে
নতুন দল করতে চান, দেশে আগুন জ্বলে যাবে। এ আগুন নেভানোর জন্য আপনারা লোক খুঁজে পাবেন না।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক। এতে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক বিপুল কুমার দাস প্রমুখ।