রমজানে খাদ্যদ্রব্য মজুদ ও ভেজাল করলে কঠোর ব্যবস্থা : ডিসি
Published: 26th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য মজুদ বা ভেজাল করলে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
উন্নত বিশ্বে উৎসবের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সবাই আনন্দের সঙ্গে উৎসব পালন করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ঠিক উল্টোটি হয়।
বছরের অন্য সময় তো ব্যবসায়ীরা মুনাফা করেন, রমজানে কেন সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করতে পারবে না? আমরা আশা করি এবার কোনো পণ্যে ভেজাল থাকবে না বা দাম বাড়বে না।
আমরা কারো মর্যাদায় আঘাত করতে চাই না, তবে যদি কেউ খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ বা পণ্য মজুদ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’র সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, রমজান মাসে কেউ যদি কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, তাহলে তার কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। ব্যবসায়ীদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, তারা যেন এ ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকেন। কেউ যদি এমন কাজের তথ্য পান, তাহলে প্রশাসনকে জানান। একজনের কারণে পুরো ব্যবসায়ী সমাজের দুর্নাম হোক, এটা আমরা চাই না।
হোটেল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রমজানে রাস্তা দখল করে দোকান বসানো চলবে না। এতে যানজট সৃষ্টি হয় এবং মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। অসুস্থ মানুষদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে সমস্যা হয়। রমজানে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করছি এবং সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”
খাদ্যে ভেজাল রোধে নৈতিকতা গঠনের ওপর জোর দিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “আমি যে খাবার নিজে খাই না, তা অন্যের কাছে বিক্রি করি কীভাবে? নৈতিকতা জাগ্রত করতে হবে। উন্নত দেশে এসব দেখা যায় না, কারণ তাদের সমাজে এসব নিয়ন্ত্রণে নৈতিকতা তৈরি হয়েছে। আমাদের সমাজকেও সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.
এছাড়াও সভায় নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের প্রধান কর্তা ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় রমজ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ক্লাস বর্জনের ঘোষণা শিক্ষকদের
বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশি বাধার প্রতিবাদে সারাদেশে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এ ঘোষণা দেন জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্য জোটের নেতারা।
শিক্ষক নেতারা জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার ঘোষণা দিতে হবে। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতার ঘোষণা দিতে হবে। এ ঘোষণা না এলে ঈদের নামাজ যমুনায় পড়বেন তারা।
জাতীয়করণ প্রত্যাশী ঐক্য জোটের যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার সমকালকে বলেন, বারবার আমাদের কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। কর্তৃপক্ষও মুখে মুখে আশ্বাস দিয়ে আন্দোলন দমিয়ে দিতে চাইছে। আমরা ফাঁকা বুলিতে আর ঘরে ফিরব না। আগামীকাল থেকে সারাদেশে সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে তাতে বাধা দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতি ঘটে। পরে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও ঘোষণা দেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা। এ কর্মসূচি চলাকালে সচিবালয় ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচিও করেছেন তারা। কর্মসূচিতে একাধিকবার বাধা দিয়েছে পুলিশ।