চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন চবি শিক্ষার্থীর
Published: 26th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত। তার বাম পাশের কাঁধের নার্ভ ড্যামেজ এবং ডান হাতসহ শরীরের ডান দিক প্যারালাইজড হয়ে গেছে।
অর্থের অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা না চালাতে পেরে তার বাম হাত অনেক শুকিয়ে যায় এবং শরীরের সার্বিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এমতাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শক্রমে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে চান। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন আড়াই লাখ টাকা, যা তার হতদরিদ্র পরিবারের পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়।
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার তুষার মালিয়াট গ্রামের মো.
জানা যায়, দেড় বছর আগে আশিক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়। এরপর চট্টগ্রামের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে বিভিন্ন পরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দেন। প্রথম কয়েকমাস ঔষধ সেবন করতে পারলেও আর্থিক সমস্যার কারণে তা নিয়মিত করা সম্ভব হয়নি। গত বছর চট্টগ্রামের আরেকটি হাসপাতালে গেলে আরেক ডাক্তার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে ‘ইআরবিএস পালসি’ নামক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন। এ ডাক্তার আশিককে বাহিরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। চিকিৎসাবাবদ সবমিলিয়ে আনুমানিক খরচ হতে পারে আড়াই লাখ টাকা।
আশিকের সহপাঠী চবির সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তনজিহা বিনতে কবির বলেন, “আশিক দেড় বছর ধরে অসুস্থ। চরম আর্থিক দৈন্যতার কারণে সে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারেনি। ফলে তার ডান হাত অনেক শুকিয়ে গিয়েছে। আমাদের সবার একটু সহযোগিতা তাকে একটি সুস্থ জীবন ফিরিয়ে দিতে পারে। তার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।”
এ বিষয়ে আশিক বলেন, “দেড় বছর আগে আমার ডান হাতে প্রচণ্ড ব্যথা দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যাই। প্রয়োজনীয় টেস্টের রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলেন, বাম কাঁধের নার্ভ ড্যামেজের দিকে। কয়েকমাস ঔষধ চলে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে নিয়মিত চালিয়ে যেতে পারিনি। এরপরে আমার সমস্যা আরো বাড়তে থাকে।”
তিনি বলেন, “বাম পাশের কাঁধের নার্ভ ড্যামেজ এবং ডান হাতসহ শরীরের ডান দিক প্যারালাইজড হয়ে যায়। বর্তমানে ডান হাত অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। এ হাতে তেমনকিছু নিতে পারি না। অনেক দুর্বল অবস্থায় আছি। বর্তমানে বাসায় অবস্থান করছি।”
তিনি আরো বলেন, “পরে ড. এস চক্রবর্তীর কাছে গেলে তিনি আমাকে ‘ইআরবিএস পালসি’ নামক প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন। বর্তমানে তিনি আমাকে বাহিরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেব। এতে সবমিলিয়ে খরচ হতে পারে আড়াই লাখ টাকা। আমার বাবা একজন দিনমজুর। তিনি ঘরের চাল বুনার কাজ করেন। গত বছর চাল থেকে পড়ে তার বাম হাতটি ভেঙে যায়। এতদিন তিনি আমার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা খরচ করেছেন। বর্তমানে তার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না।”
জীবন বাঁচাতে দেশের সহৃদয়বান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন চবির এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, হিসাবের নাম- তুলি রাণী সাহা, হিসাব নম্বর- ০২০০০১৮৪১৭২৯৬। এছাড়া বিকাশ/নগদ (০১৬৩৭৬২২৬৯৬) ও রকেট (০১৭২৩০৩৫২১২) নম্বরেও সাহায্য পাঠানো যাবে।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৭ মার্চ) দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনে মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৬৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
শনিবার (২৯ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৮১ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯১৪ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১.৬৩ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯০ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৫৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৩টির, দর কমেছে ১৬১টির ও দর অপরিবর্তিত ৪২ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৮১ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ২৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.১০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১১৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২ হাজার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৩ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৩৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ১৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, দর কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা