পাবনায় দুদকের গণশুনানিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন সদর উপজেলার আলোচিত ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খাঁন।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম।

ওসি জানান, এজাহারভূক্ত না হলেও শুরু থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খানের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগ ছিল। পুলিশ অভিযোগ তদন্তে প্রাথমিকভাবে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। এর প্রেক্ষিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার বিকেলে আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এর আগে বুধবার সকাল দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানস্থলে যান ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান। এক সেবাগ্রহীতা ইউপি সচিব সেলিমের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সনদ করায় হয়রানির অভিযোগ আনলে তার জবাব দিতে গণশুনানিতে সচিবকে তলব করে দুদক। সেখানে চেয়ারম্যান সুলতানের বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলেও সচিবের সাথে শুনানিতে অংশ নেন তিনি। জবাব শেষে শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ঢাকা/শাহীন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণশ ন ন

এছাড়াও পড়ুন:

সমগীতের ‘ভাষাবৈচিত্র্যের গান’-এ বাংলার সঙ্গে অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর পরিবেশনা

বৈষম্যহীন সংস্কৃতির জমিন তৈরির প্রত্যাশা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো সমগীত সংস্কৃত প্রাঙ্গণের আয়োজন ‘ভাষাবৈচিত্র্যের গান’ কনসার্ট। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে অংশ নিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা। বম, মান্দি, মারমা, ত্রিপুরা ভাষার সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল চা–বাগানের শ্রমিকদের গান, ছিল ফয়েজ আহমদ ফয়েজের উর্দু কবিতা পাঠ।

‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়, ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতে পায়’ এবং ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সমগীত সাংস্কৃতিক সংগঠনের এ আয়োজন। সমগীতের পক্ষ থেকে প্রথম দুটি পরিবেশনা ছিল এ গান দুটি।

শিল্পী সায়ান নিজের গান শুরুর আগে বললেন, ‘এই বহুভাষার সঙ্গে আরেকটি ভাষা আছে, যে বিষয় নিয়ে আমরা কথা কম বলি। সেটি প্রেম।’ সায়ান তাঁর কথায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে ‘উপজাতি’ সম্বোধনের প্রতিবাদ জানান। তিনি পরিবেশন করেন দুটি গান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সমগীত সংস্কৃত প্রাঙ্গণের সভাপ্রধান দীনা তাজরিন ও সহসভাপ্রধান রেবেকা নীলা। তাঁরা বলেন, এই দেশের প্রতিটি আন্দোলনে দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর ভাষার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এই বাংলায় শতফুল ফোটাবারই আন্দোলন। ২০২৪–এর শিক্ষার্থী-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান নতুন আশার জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রার। তারই অংশ হিসেবে এই আয়োজন।

সমগীত সংস্কৃত প্রাঙ্গণের আয়োজিত ‘ভাষাবৈচিত্র্যের গান’ কনসার্টে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে

সম্পর্কিত নিবন্ধ