নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। আমরা প্রস্তুত। ইনশাল্লাহ, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে পারব।”

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০২৫ উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ইতোমধ্যে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করেছি। এখন পুরোদমে রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে। এ দেশের মানুষ ভোট দিতে আগ্রহী বলেই তারা উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে ভোটার হওয়ার জন্য কষ্ট করছেন। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারাও আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছেন। সমন্বিতভাবে ভোটার তালিকার কাজটি শেষ করার জন্য সবাই সচেষ্ট।”

তিনি বলেন, “আপনারা জানেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা গত ১৬ ডিসেম্বর বক্তৃতায় বলেছেন ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুন নাগাদ নির্বাচন হবে। যদি ডিসেম্বর নির্বাচন হয় তাহলে কিছু সংস্কার হবে। আর যদি বড় ধরনের সংস্কার হয় তাহলে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন হবে। আমরা ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং আমরা বিশ্বাস করি ডিসেম্বর নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে গেলে এক বছর সময় লাগবে। তাহলে ডিসেম্বরে (জাতীয় সংসদ) নির্বাচন করার আমাদের যে ঘোষণা, সে টাইমলাইনের মধ্যে করা সম্ভব হবে না। আমরা ডিসেম্বরকে সামনে রেখে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করছি। আমরা প্রস্তুত। ইনশাল্লাহ, আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে পারব।”

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার, জেলা নির্বাচন অফিসার মো.

মোজাম্মেল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোছাম্মদ জোবাইদা খাতুন, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলমসহ ছয় উপজেলার সকল নির্বাচন অফিসার ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

ঢাকা/রতন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড স ম বর অফ স র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (২৩ থেকে ২৭ মার্চ)  দেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান হলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতনে মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমলেও সিএসইতে বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইতে বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৬৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

শনিবার (২৯ মার্চ) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৮১ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯১৪ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬৮ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ১.৬৩ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭৫৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৩টির, দর কমেছে ১৬১টির ও দর অপরিবর্তিত ৪২ রয়েছে টির। তবে লেনদেন হয়নি ১৭টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৪১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৮১ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার ২৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.০৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৪২ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.১০ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১১৩ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৮০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২ হাজার ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৩ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৩৪০ কোটি ৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮ লাখ  টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ১৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টির, দর কমেছে ১৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ