ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন খালগুলোর খনন, পানিদূষণ রোধ ও টেকসই উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। আজ বুধবার গুলশান নগরভবনে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎকালে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে খালগুলোর উন্নয়ন, পানিদূষণ রোধকল্পে খালের ময়লা অপসারণ (ফিক্যাল স্ল্যাজ ম্যানেজমেন্ট) এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, আমরা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বিতভাবে খালের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছি। বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ঢাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে নিরসনে এবং খালের দূষণ রোধ করে পরিবেশবান্ধব শহর গড়তে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ওয়াটার স্পেশালিস্ট ও টাস্ক টিম লিডার হার্শ গোয়েল, লিড ওয়াটার স্পেশালিস্ট ডেভিড ম্যালকম লর্ড এবং সিনিয়র ওয়াটার সাপ্লাই ও স্যানিটেশন স্পেশালিস্ট আরিফ আহমেদ।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো.

কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম সামসুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম ও ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ প্রমুখ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড এনস স ড এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় ঈদ জামাত শেষে আনন্দমিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আয়োজনে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত শুরু হয়। জামাতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।

জামাতের পর সবাইকে নিয়ে বের হয় এক বর্ণাঢ্য আনন্দমিছিল। মিছিলটি আগারগাঁও থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আগত সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য কার্পেট ও নামাজের বিছানা রাখা হয়। জামাত শুরুর আধঘণ্টা আগে সকাল আটটার দিকে নির্ধারিত প্যান্ডেল মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এর পরে যাঁরা আসেন, তাঁরা খোলা মাঠে নামাজে অংশ নেন।

জামাত শেষে বাণিজ্য মেলার পুরোনো মাঠ থেকে শুরু হয় ঈদ আনন্দমিছিল। ব্যান্ডদলের বাদ্যবাজনার তালে তালে নেচে-গেয়ে হইহল্লোড় করে আনন্দমুখর পরিবেশে মানুষ অংশগ্রহণ করেন এই মিছিলে।

ঈদের শুভেচ্ছা ও সচেতনতার বার্তা–সংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষ ‘ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক’ বলে আনন্দধ্বনি তোলেন। মিছিলের অগ্রভাগে দুই সারিতে ছিল আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া। আরও ছিল ১৫টি ঘোড়ার গাড়ি, মোগল ও সুলতানি আমলের ইতিহাস–সংবলিত ১০টি পাপেট শো। আনন্দমিছিল থেকে ন্যায্য ঢাকা শহর গড়ার বার্তা দেওয়া হয়। মিছিলটি খামারবাড়ি মোড় হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়।

আনন্দমিছিল শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। উন্মুক্ত মঞ্চে জাসাসের শিল্পীরা ঈদের দর্শকপ্রিয় গান ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশীর ঈদ’ গানটি পরিবেশন করেন। এর পর ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম, দেখা পাইলাম না’, ‘আমার গরুর গাড়িতে বউ সাজিয়ে’র মতো জনপ্রিয় গানগুলো শিল্পীরা পরিবেশন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এ সময় সাধারণ মানুষদের সেমাই ও মিষ্টি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

আনন্দমিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা অংশগ্রহণ করেছেন জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঈদের আনন্দ সকলের। ঈদের যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, ঈদের নামাজের পর ঘরে ঢুকে যাওয়া এবং শুধু নিজেদের পরিবারকে সময় দেওয়া, সেটার পরিবর্তন দরকার। কারণ, ঈদ মানেই জমায়েত, সমাজের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে।’

এই জামাত ও আনন্দমিছিলে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদটাকে সত্যিকার অর্থেই ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে। ঢাকার যে ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিল, সেটা হয়তো কয়েক শ বছর পর আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে প্রতিবছর এভাবেই নগরবাসী এক হয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করবে। এখন থেকে ঈদ উৎসব হবে আনন্দময়। ঘরে বসে টিভি দেখে সময় কাটাতে হবে না। সবাই একসঙ্গে ঈদ মিছিল করবে, মেলা উপভোগ করবে, সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেবে।’

আনন্দমিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা অংশগ্রহণ করেছেন জানিয়ে ঢাকা উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঈদের আনন্দ সকলের। ঈদের যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল, ঈদের নামাজের পর ঘরে ঢুকে যাওয়া এবং শুধু নিজেদের পরিবারকে সময় দেওয়া, সেটার পরিবর্তন দরকার। কারণ, ঈদ মানেই জমায়েত, সমাজের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে।’

এই জামাত ও আনন্দমিছিলে অংশ নেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে তিনি গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘এবারের ঈদটাকে সত্যিকার অর্থেই ঈদ ঈদ মনে হচ্ছে। ঢাকার যে ঐতিহ্যবাহী ঈদ মিছিল, সেটা হয়তো কয়েক শ বছর পর আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে প্রতিবছর এভাবেই নগরবাসী এক হয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করবে। এখন থেকে ঈদ উৎসব হবে আনন্দময়। ঘরে বসে টিভি দেখে সময় কাটাতে হবে না। সবাই একসঙ্গে ঈদ মিছিল করবে, মেলা উপভোগ করবে, সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ