চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রা শুরুর আগে হেড কোচ ফিল সিমন্স এবং জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত দুই রকম কথা বলেছিলেন। কোচের মতে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অনুশীলনে কিছুটা ঘাটতি থেকে গেছে। তবে শান্ত জানান, বিপিএল দিয়েই তাদের ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। ব্যাটাররা রানের মধ্যে ছিলেন। প্রস্তুতিতে ঘাটতি নেই। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রায় ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ হাতে থাকতেই আসর থেকে বিদায় লেখা হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ওই ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, প্রস্তুতিতে তাদের কিছু ঘাটতি ছিল। প্রস্তুতি ঘাটতির পেছনে পরিকল্পনার দায় দেখেন তিনি। 

সালাউদ্দিন বলেন, আমাদের প্রস্তুতিতে কিছু ঘাটতি ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড পাকিস্তানে এসে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে। এগুলো তো হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়নি। এক বছর আগে থেকে পরিকল্পনা করতে হয়েছে। আমরা বিপিএলটা ১৫ দিন আগে শেষ করতে পারলে ভালো হতো। আমি মনে করি, চেষ্টা থাকলে সেটা সম্ভব ছিল।

শান্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা বলে দেশ ছেড়েছিলেন। কিন্তু গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছে দল। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন কোচ সালাউদ্দিন- ‘কী বলা উচিত হতো? আমরা শুধু অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি?’ এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন। তিনি জানান, দলের অধিনায়ক শান্ত। তার জন্য বড় স্বপ্ন নিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে আসাই স্বাভাবিক।

এছাড়া সিনিয়র সহকারী কোচ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটা জয়ের কথা চিন্তা করেই খেলবেন তারা। এই ম্যাচ থেকে টুর্নামেন্টে পাওয়ার কিছু নেই। তবে দলের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। তার মতে, প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ এবং শেখার সুযোগ। তিনি মনে করেন, এমন ম্যাচ থেকে এমন কিছু হতে পারে যা একটা ক্রিকেটারের পৃথিবী বদলে দিতে পারে। 

বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে পাকিস্তানও আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। ওই ম্যাচে অবশ্য বৃষ্টির শঙ্কা আছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিত্যক্ত হয়ে যেতে পারে ম্যাচটি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানকে উড়িয়ে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। জবাবে পাকিস্তান ৪১.২ ওভারে ২০৮ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচেও ৭৩ রানে জয় পাওয়া নিউজিল্যান্ড এই ম্যাচেও নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে দ্বিতীয় ম্যাচেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টম ল্যাথামের দল।

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে বড় অবদান রাখেন ড্যারিল মিচেল। মাত্র ৭৮ বলে অপরাজিত ৯৯ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৭টি ছক্কা। মাত্র ১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেও তার ইনিংসেই কিউইরা বড় সংগ্রহের ভিত পায়। এ ছাড়া অভিষিক্ত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আব্বাস ৬৬ বলে ৪১ রান করেন। ওপেনার নিক হিলি ২৩ বলে ৩১ রান এবং হেনরি নিকোলস ৩২ বলে ২২ রান করেন। তবে বাকিরা তেমন বড় অবদান রাখতে পারেননি।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ও সুফিয়ান মুকিম ২টি করে উইকেট নেন। তবে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা বাজে দিন কাটান, অতিরিক্ত ৩২ রান দিয়ে প্রতিপক্ষকে সাহায্য করেন তারা।

লক্ষ্য তাড়ায় কখনই জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি পাকিস্তান। শীর্ষ পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমের সঙ্গে তৈয়ব তাহিরের জুটিও শেষ হয় ৩৩ রানে। ১১৪ রানে ৮ উইকেট হারানো পাকিস্তান ফাহিম ও নাসিমের ব্যাটে পায় সবচেয়ে বড় জুটির দেখা। নবম উইকেটে তারা গড়েন ৫৬ বলে ৬০ রানের জুটি। দুজনেই পান ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির দেখা।

৮০ বলে ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করা ফাহিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি। সুফিয়ান মুকিমের সঙ্গে শেষ উইকেটে ২২ বলে ৩৪ রান যোগ করে শেষ ব্যাটার হিসেবে নাসিম আউট হন ৪৪ বলে ৪টি করে ছক্কা-চারে ৫১ রান করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ