নিজের যে সিদ্ধান্তের জন্য অনুতপ্ত বিল গেটস
Published: 26th, February 2025 GMT
মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বাদ দিয়ে বন্ধু পল অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফট। পরে মাইক্রোসফট বিশ্বের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান এবং নিজে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় জায়গা করে নিলেও নিজের একটি সিদ্ধান্তের জন্য এখনো অনুতপ্ত বিল গেটস। নিজের লেখা সোর্স কোড বইয়ে অনুতপ্তের কারণও তুলে ধরেছেন তিনি।
এ মাসের শুরুতে বিল গেটসের লেখা সোর্স কোড বই প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে নিজের শৈশবে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতিও তুলে ধরেছেন বিল গেটস। বইটির তথ্য মতে, ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে ভর্তি হন বিল গেটস। ১৯৭৪ সালে বড়দিনের ছুটিতে বন্ধু পল অ্যালেনকে সঙ্গে নিয়ে আলটেয়ারে বেসিক নামের একটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তৈরি করেন তিনি। এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের সফলতার কারণে পড়াশোনা শেষ না করেই ১৯৭৫ সালে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন তাঁরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ও কাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ সমস্যার মুখে পড়েন বিল গেটস। আর তাই মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। এরপর মাইক্রোসফটে বেশি মনোযোগ দেওয়ার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বাদ দেন বিল গেটস।
আরও পড়ুনবিল গেটসের শৈশব কেমন ছিল২২ ডিসেম্বর ২০২৪হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন নিয়ে এখনো নস্টালজিয়ায় ভোগেন বিল গেটস। শুধু তাই নয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অনুতপ্তও তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি হার্ভার্ড উপভোগ করেছি। আমি সেখানে ক্লাস উপভোগ করেছি। মনোবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও ইতিহাসের মতো বিষয়ে আমি ক্লাসে বসে থাকতাম। আমি ক্লাসে স্মার্ট মানুষ দিয়ে ঘিরে থাকতে পছন্দ করতম। আমরা নানা বিষয়ে আলোচনা করার জন্য অনেক দেরি করতাম।’
আরও পড়ুনবিল গেটসের জীবনের মজার কিছু কাহিনি১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিল গেটসের শিক্ষক ছিলেন অধ্যাপক হ্যারি লুইস। বিল গেটসের বিষয়ে তিনি জানান, ‘সে যখন পড়াশোনা বাদ দেয়, তখন আসলে আমি অবাক হইনি। সে সব সময় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতো।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, সিএনবিসি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ব ল গ টস ব ল গ টস র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।
বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।
সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।