বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, জাকাতের মাধ্যমে সমাজে ধনী-দরিদ্রের মধ্যকার বিরাজমান বৈষম্য দূর করা সম্ভব। এতে অর্থনৈতিক সমতার ক্ষেত্রেও প্রস্তুত হয়। আল্লাহর নির্দেশমতো যথাযথভাবে জাকাত দিলে সমাজের কোনো লোক অন্নহীন, বস্ত্রহীন, গৃহহীন থাকবে না। কেউ না খেয়ে থাকবে না। কেউ বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না ।

বুধবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলের সুরমা হলে ‘মাস্তুল ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত জাকাত কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জাকাতের অন্যতম গুরুত্ব হলো অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা। সমাজের কেউ সম্পদের পাহাড় গড়বে, সুউচ্চ ইমারতে বসবাস করবে, বিলাসবহুল জীবনযাপন করবে, আর কেউ অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাবে, ডাস্টবিনে খাবার কুড়াবে, রাস্তায় রাস্তায় কাগজ খুঁজবে, সংসার চালাতে কিডনি কিংবা সন্তান বিক্রি করবে এমন বিধান ইসলামে নেই। সব শ্রেণির নাগরিকের মধ্যে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ইসলাম ধনীদের ওপর জাকাত ফরজ করেছে। 

তিনি বলেন, সাধারণত মানুষের অর্থের প্রতি লোভ থাকে। যে কৃপণ স্বভাবের হয়, সে নিজের কষ্টে উপার্জিত অর্থ নিঃস্বার্থভাবে কাউকে দিতে চায় না। তাই দয়াময় আল্লাহ তায়ালা সম্পদশালী ব্যক্তিদের মনকে সম্পদের লোভ, কৃপণতা, স্বার্থপরতা প্রভৃতি দোষ থেকে মুক্ত ও পবিত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মানুষের মনকে দয়া-মায়া, স্নেহ, মমতা ও ভালোবাসা ইত্যাদি মানবিক গুণসম্পন্ন করে তোলার জন্য তাদের ওপর জাকাত ফরজ করে দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- মুফতি গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, প্রফেসর ড.

মো. আতাউর রহমান মিয়াজী, প্রফেসর ডা. রায়হান হোসেন, ওয়াইস খান নূর সোহেল, মুফতি সাইফুল ইসলাম, এস ডি খান, শেখ মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা, প্রফেসর ড.রায়হান হোসেন, শেখ আলী হাসান তৈয়ব, মাওলানা আবদুল কাহার সিদ্দিকী।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সব হারিয়ে শূন্য থেকে শুরু করতে চায় পাকিস্তান

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের কোচ আকিব জাভেদ এসেছিলেন। শুরুর ১২ প্রশ্নে কোথাও ছিল না বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ, ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পারা, স্বাগতিক হয়েও ছয়দিনের মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়, ব্যর্থতার কারণসহ কত-কত প্রশ্ন।

১৩ নম্বর প্রশ্নে যখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচ প্রসঙ্গ উঠে। খুশি হয়ে যান আকিব জাভেদ। গণমাধ্যমকর্মীকে ধন্যবাদ দিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তার আছে। কেবল আপনিই এখানে এগিয়ে যেতে চাইছেন।’’

আয়োজক হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের ঘটনা নতুন নয়। পাকিস্তানও বিদায় নিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিদ্বন্দ্বতা বাবর, রিজওয়ান, আফ্রিদিরা করতে না পারায় প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। আগামীকালের ম্যাচটি তাদের জন্য মুখ রক্ষার।

আরো পড়ুন:

ব্যাটসম্যানরা ৩০০ করলেই বোলাররা পাকিস্তানকে আটকাতে পারবে

আফগানদের ব্রিটিশ বধ

এজন্য সব ভুলে শূন্য থেকে শুরুর কথা বললেন আকিব জাভেদ, ‘‘ক্রিকেট নিয়ে আলোচনায় দেখবেন, বাইরের যারা আছে তারা কেবল একটি নির্দিষ্ট ম্যাচ নিয়েই চিন্তা করে। কিন্তু খেলোয়াড়দের কথা ভাবুন, তারা ভাবছে মাঠে কি হয়েছে, কিভাবে হলো এবং কোথায় উন্নতি করতে হবে। প্রতিটি ম্যাচ নতুন নতুন চাপ তৈরি করেছে। আপনি যখন ব্যাটিং করবেন তখন কাজটা কিন্তু সহজ হয় না। এজন্য সবাইকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। আমরাও সেদিকেই নজর রাখছি। আর এটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিশ্বকাপ নয়। সেরা আটটা দল খেলে। আগামীকালের ম্যাচটাও আমাদের জন্য সমান গুরুত্বের। আপনি যখন খারাপ অবস্থানে থাকবেন অবশ্যই চাইবেন যেন আপনার সেরা ক্রিকেটাই খেলতে। আমরাও আগামীকাল শক্তিশালী হয়ে খেলতে চাই এবং পরবর্তীতে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ