স্বামীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী তরুণী এ অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, প্রেমের সম্পর্ক থেকে তরুণ-তরুণী গত ১০ জানুয়ারি বিয়ে করেন। অভিভাবকরা এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তরুণী একাই ফতুল্লার একটি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন এবং তার স্বামী একই এলাকার আরেকটি বাসায় ভাড়া থাকেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে তরুণীর সঙ্গে তাঁর স্বামী দেখা করতে যাওয়ার পথে পূর্ব লামাপাড়া এলাকার মনিরের ছেলে নাজমুল ও তাঁর বন্ধু রনি দলবল নিয়ে তাকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। এরপর গলায় ছুরি ধরে তারা তরুণীর স্বামীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে রাখেন। সেই ভিডিও তরুণীকে দেখিয়ে ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে নাজমুল ও রনি তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর স্বামী ও স্ত্রীর কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি কিছুটা ধোঁয়াশে। কারণ মেয়েটি যেখানে থাকত তার আশপাশের লোকজন এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারেনি। এরপরও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে থানায় জানানো হয়নি। ফলে ধর্ষকরা সুযোগ পেয়ে পালিয়েছে। থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি: কেসিসির পরিকল্পনা কর্মকর্তা

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কর্মকর্তার (প্ল্যানিং অফিসার) কোনো কাজ নেই বলে মন্তব্য করেন কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির-উল-জব্বার। তিনি বলেন, যে প্রকল্প আসে, তা বাস্তবায়ন হয় রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর ৩১ ওয়ার্ডের কোনোটিতেই কোনো পরিকল্পনা নেই।

আজ মঙ্গলবার নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন আবির-উল-জব্বার। এতে একটি প্রকল্পের পরিচিতি সভার আয়োজন করে ‘সিরাক-বাংলাদেশ’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।

অনুষ্ঠানটির মুক্ত আলোচনাপর্বে আবির-উল-জব্বার বলেন, ‘যা এত দিন বলতে পারিনি, তা আজ বলছি। আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি। আমি যখন একটা প্রস্তাব দিই, তখন আমার ওপরের অথরিটি সেটি মাথায় নেয় না। এ কারণে আমার এক পার্সেন্টও প্ল্যান বাস্তবায়ন হয় না। সারা বাংলাদেশে একই সিস্টেম। প্ল্যানাররা সব সময়ই অবহেলিত।’

আক্ষেপের সুরে কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশে আগে প্ল্যানাররা প্ল্যান করেন, পরে আর্কিটেক্টরা ডিজাইন করেন। এরপরই কাজ করেন ইঞ্জিনিয়াররা। দিস ইজ দ্য সিস্টেম, সারা ওয়ার্ল্ডে। কিন্তু আমাদের দেশে হয় উল্টো। আগে ইঞ্জিনিয়াররা প্রোজেক্ট পাস করায় দেবেন, এরপর আমাকে বলবে, “এই টাকা এসেছে, এখন ডিজাইন করো।” এরপর আর্কিটেক্ট একটা ডিজাইন করেন, সেখানে আমার একটা মতামত দিতে হয়। ব্যস, উল্টোভাবে চলছে সারা বাংলাদেশ।’

যে প্রকল্পে রাজনৈতিক তদবির ভালো, সেটি দ্রুত পাস হয় জানিয়ে আবির-উল-জব্বার বলেন, কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় একই শহরে একই রাস্তা বারবার খোঁড়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লস্কর তাজুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিতান কুমার মণ্ডল, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রত্যাবর্তনে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ বিজয়ের
  • রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত রাখার সুযোগ পাচ্ছে তালেবান
  • জুমে ভুয়া সাক্ষাৎকারের ফাঁদ
  • রূপগঞ্জে প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
  • পারভেজ হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
  • চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা
  • হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বাংলাদেশ–জিম্বাবুয়ে টেস্টের নিরাপত্তা কর্মকর্তা
  • ৮০ টাকা বেতনে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি, এরপর যেভাবে বিশ্বখ্যাত নির্মাতা হয়ে ওঠেন সত্যজিৎ
  • ‘র‍্যানডম’ কাজটি হয়ে গেছে: মৌসুমী নাগ
  • আমার ব্রেনে এই শহরে কোনো কাজ হয়নি: কেসিসির পরিকল্পনা কর্মকর্তা