বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়মের দায়ে উত্তীর্ণ ৫৪৪ জনের ফলাফল বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। তৃতীয় দফায় তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে জালিয়াতির তথ্য উঠে আসায় বুধবার সিন্ডিকেট সভা এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৩ জুলাই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে ৫২ পদে ৫৪৪ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানায় প্রতিষ্ঠানটি। পদগুলোর মধ্যে- কনসালট্যান্ট পদে ৯৬ জন, মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিকস) পদে ৬০ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ২২৫ জনকে নিয়োগের কথা বলা হয়। বাকিপদগুলোতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ), পরিচালক (আইটি), টেকনিশিয়ান, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়।

বিএসএমএমইউ রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা.

মো. নজরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, তৃতীয় দফা তদন্তে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়মের তথ্য মিলেছে। তাই সিন্ডিটেড সভায় উত্তীর্ণদের ফলাফল বাতিল করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্তে কমিটির একজন সদস্য বলেন, নিয়োগ প্রার্থীদের কল রেকর্ড, সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথনের স্ক্রিনশট ছিল, পেনড্রাইভে প্রশ্ন নেওয়া অভিযুক্ত চিকিৎসকের মিষ্টি বিতরণের ছবিসহ আরও অনেককিছু যাচাই-বাছাই করেছি। সবমিলিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাজে জমা দিয়েছি। বাকি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নেবে।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেনড্রাইভে করে ৩০০ প্রশ্ন চুরি করে সেগুলো চক্রের সদস্যদের কাছে সরবরাহ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাহিদুল ইসলাম ও কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফয়সাল ইবনে কবির। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান। তারাই চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে তা বিক্রি করেন। এই চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. রসুল আমিন, একই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসান পলাশ, বিএসএমএমইউর নিউরো সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবেদ আব্বাস, কনজারভেটিভ ডেনটিস্ট বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মোমিনুর রহমান ও ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাঈনুল মাহমুদ সানী।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ড ক ল অফ স র ন য় গ পর ক ষ সদস য তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিবাচক মানসিকতায় সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে থাকতে চাই: সিমন্স

স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন ফিল সিমন্সের। বোর্ডের মন জয় করে দুই বছরের জন্য চাকরি পাকাপাকি করেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে নতুন পথচলা শুরু হয়েছে তার। কিন্তু নতুন অ্যাসাইনমেন্টের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। সিলেটে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম ইনিংসে। গা-ছাড়া ক্রিকেটে এলোমেলো পারফরম্যান্সে হয়েছে ভরাডুবির পারফরম্যান্স।

‘‘আমরা অনেক বেশি ইতিবাচক খেলার চেষ্টা করছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা পিছিয়ে থাকি এবং দলগুলিকে আমাদের দিকে আসতে দেই (আক্রমণ)। এখন আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য এটা ভালো হয়নি, কিন্তু তারা সেটা করার চেষ্টা করছিল। মাঝে মাঝে সময় লাগে। আমরা এখন এভাবেই ক্রিকেট খেলতে চাই। সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বদা ফ্রন্ট ফুটে খেলতে প্রস্তুত থাকতে চাই।’’

পরিকল্পনামাফিক কাজ হয়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান কোচ। কামব্যাকের সুযোগ থাকায় সেদিকেই তাকিয়ে তিনি, ‘‘গতকাল আমাদের যে কাজটা করার কথা ছিল তা করতে পারিনি। টেস্টের প্রথম দিনে এমন কিছু হয়েছে। আমাদের কামব্যাকের সুযোগ আছে। আমরা ভালো বোলিংও করিনি। আশা করছি আমরা আজ সকালে ভালো শুরু করতে পারব।’’

আরো পড়ুন:

জাতীয় দলের বাইরে রিসোর্স কম, মনে করিয়ে দিলেন সালাউদ্দিন

ব‌্যর্থতা স্বীকারের সঙ্গে বাস্তবতার আয়নায় সালাউদ্দিন

সিমন্সের কথা রেখেছেন পেসাররা। গতির ঝড় তুলে নাহিদ রানা পেয়েছেন ২ উইকেট। আরেক পেসার নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থ ধরে রেখে বোলিংয়ে করায় পেয়েছেন ১ উইকেট। দুই পেসারের সঙ্গে খালেদ আহমেদও ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব ধরে রাখার কথা বললেন সিমন্স, ‘‘আমরা সকালে কিভাবে, কোন প্রতিক্রিয়ায় অ্যাপ্রোচ করি তা দেখতে হবে। এটা নিশ্চিতভাবেই ধারাবাহিকতা ও পেশাদারিত্ব দিয়ে করতে হবে। আমরা যদি ভালো লাইন ও লেন্থ ধরে রাখতে পারি তাহলে নিশ্চিতভাবেই ভালো হবে।’’

প্রস্তুতি এবং সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট সিমন্স, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে এবং এখানে সুযোগ-সুবিধা ভালো ছিল। যেটা হয়ে গেছে সেটা ফেরানো সম্ভব নয়। আমাদেরকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’’

সিলেট/ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ