‘এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে রক্তের বন্যায় ভাসবে দেশ’
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “যেখানে চাঁদাবাজ সেখানে যুদ্ধ, যেখানে দখলদার সেখানে লড়াই। বর্তমানে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন করলে চরম বিশৃঙ্খলা হবে। রক্তের বন্যায় বাংলাদেশ ভেসে যাবে। আমরা এটা চাই না।”
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডোমার উপজেলা শাখার আয়োজনে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দেশে আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে জনগণকে তার ভোট প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে হবে। আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর পৌনে দুই কোটি ভূয়া ভোটার তৈরি করেছে, তা বাদ দিতে হবে। অতিদ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে তারপর প্রয়োজনীয় সকল সংস্কার করে জাতীয় নির্বাচন।
পথসভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার আমির মো.
ঢাকা/সিথুন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যরাতে কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার এক বিএনপি নেতার বাড়িতে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) মধ্যরাতে গুলি ছুড়েছে সন্ত্রাসীরা। এসময় বাড়ির প্রধান ফটক না খোলায় তারা ওই বিএনপি নেতাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি তাজা গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা এলাকার বিএনপি নেতা শামীম টোকেনের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। শামীম টোকেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত এ কে এম ফজলুল হকের ছেলে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, “বিএনপি নেতা টোকেনের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা পাঁচটি গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর ওই এলাকায় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে জটিলতা রয়েছে। সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।”
আরো পড়ুন:
নওগাঁয় বাসায় ঢুকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ‘সংগঠককে’ কুপিয়ে জখম
উলুখালীতে বাংলাদেশি জেলেদের ওপর বিএসএফের ‘হামলা’
শামীম টোকেন সাংবাদিকদের বলেন, “বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নাম না জানা ব্যক্তিরা বাড়িতে এসে গেটে ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলে। আমি গেট না খুলায় তারা কয়েকটি গুলি ছোড়ে। তারা বকাবকি করে কিছুক্ষণ পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।”
তিনি আরো বলেন, “বিএনপি করার কারণে এর আগেও চারবার আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমি চরমভাবে নির্যাতিত। এই ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহ করছি। পুলিশকে সে তথ্য দিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।”
টোকেনের বোন দৌলত আরা ফেরদৌস লাকী বলেন, “রাত দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আমি ও আমার মেয়ে জেগে ছিলাম। ঢাকায় ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা শেষ করে বিছানায় যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিলাম। এ সময় গুলির শব্দ শুনতে পাই। চারদিক থেকে তারা আমাদের বাড়ি ঘিরে নিয়েছিল। ওরা আমার ভাইকে মেরেও ফেলতে পারত। আমিও ঢাকায় থাকি। ভাই পরিবার নিয়ে গ্রামেই থাকেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, “গুলির ঘটনায় দল থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ