জাহিন স্পিনিংয়ের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
Published: 26th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি জাহিন স্পিনিং পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর,২৪-ডিসেম্বর,২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর,২৪-ডিসেম্বর,২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) লোকসান হয়েছে ১ টাকা ০৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) লোকসান ছিল ১১ পয়সা।
অপরদিকে, ৬ মাসে (জুলাই,২৪-ডিসেম্বর,২৪) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) লোকসান ছিল ২০ পয়সা।
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২ টাকা ৭৮ পয়সা।
এএ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ড স ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন বেড়েছে
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কিছুটা বেড়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর–ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন হয়েছে ৬১ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ৫৯ শতাংশ।
তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশ থেকে ১ হাজার ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৪০৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে প্রান্তিকে তৈরি পোশাকশিল্পে মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
গত দুই অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দেখিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তখন রপ্তানির পাশাপাশি মূল্য সংযোজনও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যানের এই গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সামনে আনে। তারপর রপ্তানির পরিসংখ্যান সংশোধন হয়। তাতে গত দুই অর্থবছরের সাত প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজন কমে যায়।
রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন একলাফে ৫৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তারপরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল। যদিও সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে হয় ৬২ শতাংশে। এ ছাড়া গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশ হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তখন আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। তখন মূল্য সংযোজন ছিল ৫৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। পরের অর্থবছরে ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৯ কোটি ডলারের। তাতে মূল্য সংযোজন বেড়ে ৫৮ শতাংশ হয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬১৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। আর কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে মূল্য সংযোজন হয় ৬০ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই–সেপ্টেম্বরে ৯৫১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ৩৮৯ কোটি ডলারের। সেই হিসাবে মূল্য সংযোজন হয় ৫৯ শতাংশ।