থাইল্যান্ডে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩১ যাত্রী। আজ বুধবার দেশটির প্রাচীন বুরি প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তারা তিনটি দ্বিতল বাসে মাঠ পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের বাইরে ছিটকে পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিওয়াপাস বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরেকজনের মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাসটির চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তিনি বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় খাদে পড়ে যায়।’

বাসে মোট ৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। বিশ্বে সড়ক নিরাপত্তায় সবচেয়ে খারাপ রেকর্ড থাইল্যান্ডের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। অনিরাপদ যানবাহন ও চালকদের অসতর্কতার কারণে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটছে।

গত বছরের অক্টোবরে ব্যাংককের অদূরে সড়ক দুর্ঘটনায় একটি স্কুলবাসের ২৩ জনের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই শিশু।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়, আনতে হবে না জায়নামাজ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার সকালে জাতীয় ঈদগাহের হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক শাহজাহান মিয়া।

ডিএসসিসির প্রশাসক বলেন, এবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস নেই। এরপরও কোনো কারণে আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে সকাল নয়টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন, সে জন্য ঈদের জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব প্রতিকূল পরিস্থিতি মাথায় রেখেই প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক। তিনি আরও বলেন, গত বছরের মতো এবারও আধুনিক ও সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনায় ঈদের জামাতের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এবার জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই প্রশাসক। তিনি বলেন, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। মুসল্লিদের জন্য অজু করার জায়গা, শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ডিএসসিসির প্রশাসক জানান, জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করার জন্য আরামদায়ক কার্পেট বিছানো হয়েছে। তাই কাউকে জায়নামাজ সঙ্গে আনতে হবে না। নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহায়তার জন্য দুটি মেডিকেল টিম থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ