রাজবাড়ীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ফরিদ শেখ নামে মাদক মামলার এক আসামিকে পরিবারের লোকজন ছিনিয়ে নিয়েছেন। এ সময় ওয়াহিদুল হাসান নামে এক উপপরিদর্শকসহ দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কাজীবাধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ফরিদ শেখ কাজীবাধা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৯টি মাদক মামলা আছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ীর ডিবি ওসি মফিজুল ইসলাম।

রাজবাড়ী ডিবি সূত্র জানায়, সকালে ডিবি পুলিশের একটি দল কাজীবাধা এলাকায় ফরিদ শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও চার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। ফরিদকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলার সময় পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ঘিরে ধরেন। এর পর তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ফরিদকে ছিনিয়ে নেন। এতে এসআই ওয়াহিদুল হাসানসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে রাজবাড়ী সদর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন– আসামি ফরিদের দুই সহোদর আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু শেখ ও মিন্টু শেখ, ভাইয়ের স্ত্রী শেফালী বেগম, পরিবারের অপর তিন সদস্য নাসিমা বেগম, শিমু বেগম ও সোহাগী বেগম। পালিয়ে যাওয়া আসামি ফরিদ শেখ ও তার স্ত্রীকে আটকের চেষ্টা চলছে।

রাজবাড়ীর ডিবি ওসি মফিজুল ইসলাম জানান, মাদকসহ আসামি ফরিদকে ধরে আনার সময় বাড়ির লোকেরা হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। হামলায় ডিবির তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। জব্দ করা মাদক পুলিশের হেফাজতে আছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শরীফ আল রাজীব বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করে হেফাজতে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফর দ শ খ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাঘায় স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী নববধূ

রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর নির্মম নির্যাতনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন নববধূ আয়েশা (১৯)। ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর দুই হাঁটুর নিচে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। খবর পেয়ে স্বজনরা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। 

স্বজনরা জানায়, বাজু বাঘা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্ৰামের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা জন্ম থেকে বাক-প্রতিবন্ধী। শুক্রবার পারিবারিকভাবে বাউসা ইউনিয়নের বাউসা হেদাতিপাড়া গ্রামের জোনাল আলীর ছেলে মোবারক হোসেনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত বুধবার রাতে মোবারক হোসেন ধারালো ছুরি দিয়ে আয়েশাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি বাবা নাজিমুদ্দিনকে জানালে তিনি মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে মোবারক হোসেন পলাতক।
 
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফম আছাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাঘায় স্বামীর নির্যাতনে হাসপাতালে প্রতিবন্ধী নববধূ