বাংলাদেশকে হারানোও হবে গৌরবের, জানালেন আকিব
Published: 26th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্বাগতিক পাকিস্তান। কিন্তু গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে আসর থেকে ছিটকে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ান-বাবর আজমদের দল। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গ্রুপের শেষ ম্যাচ তাই নিয়ম রক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ আকিব জাভেদের মতে, বাংলাদেশ দলকে হারানোও হবে গৌরবের।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আকিব জাভেদ বলেন, ‘এটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এখানে সেরা আটটি দল খেলছে। প্রথম দুই ম্যাচে হারায় আমাদের শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। প্রতিটি ম্যাচ এখানে গৌরব অর্জনের জন্য খেলা হয়। আমরা শেষ ম্যাচে একটা চিহ্ন রেখে যেতে চাই।’
ঘরের মাঠে তিন দশক পর আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। অথচ নিজেদের দলই নেই নকআউট পর্বে। ভক্তদের জন্য এটা হতাশার মানছেন পাকিস্তান কোচ আকিব। তবে তিনি দাবি করেছেন, খেলোয়াড়রা আরও বেশি হতাশ।
আকিব বলেন, ‘আমি কোন অজুহাত দেব না। শুধু এই টুকু নিশ্চয়তা দিতে চাই, ভক্তদের চেয়ে খেলোয়াড়রা বেশি হতাশ। দলের কেউ এমন পারফরম্যান্সে খুশি নয়। সবাই জয়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে সিরিজ হারিয়েছি।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায়ের পর পাকিস্তানের পুরো দল বদলে ফেরার কথা বলেছেন অনেকে। এছাড়া দল নির্বাচন নিয়েও তোলা হয়েছে প্রশ্ন। আকিবের মতে, দল ও একাদশ নির্বাচনে দলের স্বার্থ দেখা হয়েছে। এছাড়া পুরো দল বদলে অনূর্ধ্ব-১৯ দল নামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার এবং পিসিবির নির্বাচক ও হেড কোচ আকিভ বলেন, ‘পূর্বে পারফর্ম করেনি এমন একজনকেও এই দলে নেওয়া হয়নি। আমরা হেরেছি বিধায়, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার এনে পুরো দল বদলে ফেলতি পারি না। নির্বাচকদের দায়িত্ব সেরা দল নির্বাচন করা। ভবিষ্যতেও আমরা দলের ভালোর কথা ভেবেই দল নির্বাচন করবো।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘বাইচ্চান্তরে লইয়া বড়া ও হান্দেশ খাইমু, ইলাই আমরার ঈদ’
দলা পাকানো চালের গুঁড়া চ্যাপটা করে ছোট ছোট বড়া বানানোর পর সেগুলো কড়াইয়ে দিচ্ছিলেন লাভলী বেগম (২৫)। চুলায় খড়ের আগুন কমে আসছিল বারবার। মাথা নিচু করে চুলার নিচ দিকে ফুঁ দিতে দিতে ধোঁয়ায় নাস্তানাবুদ অবস্থা। কুলায় যে পরিমাণ চালের গুঁড়া, তাতে ২০ থেকে ৩০টা বড়া হবে।
ঈদের আয়োজন বলতে কি শুধু এই কয়টি বড়া? লাভলী বলেন, ‘মাইয়ে (মা) কিছু গুড় আনছিলা। গুড়ের হান্দেশ (সন্দেশ) করছি। আর কিতা করমু। সকালে বাইচ্চান্তরে লইয়া বড়া ও হান্দেশ খাইমু। ইলাই আমরার ঈদ।’ কথা শেষের সঙ্গে সঙ্গে লাভলী বেগমের একটা দীর্ঘশ্বাস যেন হাওরের বাতাসে মিশে গেল। তাঁর পাশে তখন পাখির ছানার মতো বসা দুই সন্তান সাহানা (৫) ও আবির (৩)। তাদের চোখ কড়াইয়ে, তেলের ওপর ভাসতে থাকা বড়ার দিকে।
লাভলী বেগমের বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরপারের কান্দাহাটি গ্রামে। গতকাল রোববার পড়ন্ত বিকেলে ওই গ্রামে গিয়ে কথা হয় লাভলী ও তাঁর পরিবারের অন্যদের সঙ্গে। এর আগে গত বছরের জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে বন্যার সময় ওই গ্রামের যাওয়ার পর প্রথম দেখা হয়েছিল। বন্যা সব শেষ করে দিয়ে গেছে তাঁদের। হাওরের ঢেউয়ে তখন ঘরটি ভেঙে পড়ে।
লাভলী তিন সন্তান নিয়ে মা সবুরা বেগমের সংসারে আছেন। বাবা নেই; নেই মানে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে চলে গেছেন বহু আগে। লাভলীরও একই অবস্থা, স্বামী আরেকটা বিয়ে করে আলাদা থাকেন। এখন সবুরার আটজনের সংসার। ছেলে জহুরুল ইসলামের (২০) স্ত্রী ও এক মেয়ে আছে। এই সংসার মূলত সবুরা বেগম ও ছেলে জহুরুল ইসলামের শ্রম-ঘামে চলে। সবুরা, জহুরুল দুজনই শ্রমিক। যখন যে কাজ পান, সেটাই করেন, কিন্তু অভাব যায় না।
ঘরের চুলায় তেলের বড়া ভাজছেন লাভলী বেগম। সুনামগঞ্জের দেখার হাওরপারের কান্দিগাঁও গ্রাম থেকে গতকাল রোববার বিকেলে