বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, “তাড়াহুড়া করে নির্বাচন নয়, আগে সংস্কার, তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে দীর্ঘ এক যুগ পর অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির উপজেলা শাখা।

তিনি আরো বলেন, “২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিগত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার বলেছিল- আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেব। আল্লাহর রহমতে আমরা দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ায় কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। দুঃশাসন শেষ হয়েছে কিন্তু শোষণ কি শেষ হয়েছে? আজকে যুবক, মহিলা, পুরুষ জীবন দিতে শিখে গেছে। যে জাতি জাগে, সে জাতি কখনো হারে না। আল্লাহর আইন যতদিন চালু না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন বন্ধ হবে না।” 

তিনি আরো বলেন, “জামায়াতে ইসলামের কাফেলায় চলতে হলে আপনাদেরকে কয়েকটি কাজ মেনে চলতে হবে। পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ কাজ হলো আল্লাহর পথে থাকা। রসুলের পথ অনুসরণ করে কোরআনের আইন চালু করতে প্রয়োজনে জিহাদে নামতে হবে, জেল খাটতে হবে এবং মাল কুরবানী দিতে হবে। আমরা তৃতীয় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি মানুষের আইন বাতিল করে আল্লাহর আইন চালু করতে হবে।”

উপজেলা জামায়াতে আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুল খালেক, সাবেক জেলা আমির ও এমপি প্রার্থী মুহাদ্দিস হাফেজ রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির উপাধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম মুকুল, জেলা নায়েবে আমির নুরুল হুদা, জেলা সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

এতে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান মুকুল, সাবেক উপজেলা আমির উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান আল আবু বক্কর ছিদ্দিক, সাবেক উপজেলা আমির ডা.

নুরুল আমিন, আশাশুনি উপজেলা নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল আবছার মুরতাজা প্রমুখ।

ঢাকা/শাহীন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র আইন ইসল ম উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অভিষেকেই অনন্য কীর্তি অশ্বিনীর, কলকাতাকে নিয়ে ছেলেখেলা মুম্বাইয়ের

সন্ধ্যায় শাহরুখ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু এখন বলতেই হচ্ছে ‘আজকে শাহরুখের মন ভালো নেই’।

কেন, নিশ্চয় তা বুঝতে পারছেন!

ঈদের রাতে শাহরুখের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স নিজেদের ইতিহাসে অন্যতম বাজে হারের সম্মুখীন হয়েছে। প্রতিপক্ষ আবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, যাদের সঙ্গে বলিউড বাদশাহর বিরোধ অনেক পুরোনো। কলকাতার ৮ উইকেটে অসহায় আত্মসপর্মণ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে, যে মুম্বাইয়ে তাঁর বাস!

ঈদের রাতে শাহরুখের কলকাতা নাইট রাইডার্সকে যিনি নাকানিচুবানি খাইয়েছেন, তাঁর নাম অশ্বিনী কুমার। ২৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার ২৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট, যা আইপিএল অভিষেকে কোনো ভারতীয়র সেরা বোলিং।

ওয়াংখেড়েতে আজ জ্বলে উঠেছেন মুম্বাইয়ের অন্য বোলাররাও। তাতে কলকাতা ১৬.২ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে গেছে, যা আইপিএলের এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বনিম্ন। ‘মামুলি’ লক্ষ্যটা মুম্বাই ছুঁয়ে ফেলেছে ৮ উইকেট আর ৪৩ বল বাকি রেখে। বলের হিসেবে আইপিএলে  এটি মুম্বাইয়ের চতুর্থ বড় জয়।

একপেশে এ জয়ে কলকাতাকে পয়েন্ট তালিকার দশে নামিয়ে ছয়ে উঠে এসেছে হার্দিক পান্ডিয়া, রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদবদের মুম্বাই। তিন ম্যাচে এক জয়ে ২ পয়েন্ট কলকাতার। আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পাওয়া মুম্বাইয়েরও পয়েন্ট ২। কিন্তু নেট রানরেটে সবার চেয়ে পিছিয়ে থাকায় তলানিতে নেমে গেছে কলকাতা।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৬.২ ওভারে ১১৬ অলআউট

(রঘুবংশী ২৬, রমনদীপ ২২, মনীশ ১৯, রিংকু ১৭; অশ্বিনী ৪/২৪, চাহার ২/১৮, পান্ডিয়া ১/১০, স্যান্টনার ১/১৭, পুথুর ১/২১, বোল্ট ১/২৩)।

মুম্বাই ইন্ডিয়ানস: ১২.৫ ওভারে ১২১/২

(রিকেলটন ৬২*, সূর্যকুমার ২৭*, জ্যাকস ১৬, রোহিত ১৩; রাসেল ২/৩৫)।

ফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অশ্বিনী কুমার।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ