কোন উপকরণ দিয়ে তৈরি পাউরুটি বেশি স্বাস্থ্যকর
Published: 26th, February 2025 GMT
ছবি: পেক্সেলস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেহরি
কয়েকদিন পরই শুরু হচ্ছে রোজা। এখন থেকেই নিতে হবে প্রস্তুতি। সুস্থ থাকতে সেহরিতে রাখুন সহজপাচ্য খাবার। স্বাদে ভিন্নতা আনতে ইফতারের প্রথম দিন ছোলা, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনির পাশাপাশি বানাতে পারেন অন্যরকম কিছু খাবার। রেসিপি দিয়েছেন আলিফ রিফাত
চিয়া সিড পুডিং
উপকরণ: চিয়া সিড ১/৪ কাপ, দুধ ১ কাপ, খেজুর কুচি ২টা, বাদাম কুচি ১ চা চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স ১/৩ চা চামচ, ১টা কলা টুকরো করা।
প্রস্তুত প্রণালি: দুধ, চিয়া সিড, খেজুর কুচি, ভ্যানিলা এসেন্স একসঙ্গে মিক্স করে ৪-৫ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর কাটা কলা ও বাদাম কুচি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
ওটস খিচুড়ি
উপকরণ: ওটস ১/২ কাপ, পছন্দমতো সবজি কাটা ১ কাপ, মুরগির মাংস ছোট করে কাটা ১ কাপ, মসুর ও মুগ ডাল ভেজে ভেজানো ১/৩ কাপ, আদা-রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১/৩ চা চামচ, তেল বা ঘি ২ টেবিল চামচ, পানি ২ কাপ, ধনিয়া পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রস্তুত প্রণালি: বাটা ও গুঁড়া মসলা দিয়ে মাংসের টুকরো ম্যারিনেট করে রাখতে হবে ১০-১৫ মিনিট। একটি পাত্রে তেল বা ঘি দিয়ে মাংস কষাতে হবে। মাংসের পানি শুকিয়ে গেলে সবজি ও ডাল দিয়ে আবারও কষাতে হবে। এবার দেড় কাপ পানি দিয়ে সবজি ও ডাল সেদ্ধ করতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে ওটস মিশিয়ে সাবধানে নাড়তে হবে। ১/২ কাপ গরম পানি দিয়ে অল্প আঁচে খিচুড়ি দমে রাখতে হবে। ওটস সেদ্ধ হয়ে এলে ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে নামাতে হবে।
ভাতুরি
উপকরণ: পোলাও চাল, বাসমতী চাল ১/২ কেজি, মাছের ফিলে ৪ পিস, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা কুচি ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, সরিষা পেস্ট ১ টেবিল চামচ, ধনিয়া পাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২টা, লবণ স্বাদমতো, পানি ১ কাপ, নারকেল দুধ ১/২ কাপ ।
প্রস্তুত প্রণালি: চাল ধুয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৩০ মিনিট। মাছে লবণ ও লেবুর রস মাখিয়ে ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করে ধুয়ে নিন। এবার একটা পাত্রে হলুদ, মরিচ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি, সরিষা পেস্ট ও লবণ মেখে নিন। মাছের ফিলের এক পাশে মসলার মিশ্রণটা মাখিয়ে রোল করে সুতা দিয়ে বেঁধে নিন। এবার যে পাত্রে ভাতুরি রান্না করা হবে সেই পাত্রে পেঁয়াজ কুচি, লবণ, তেল ও অবশিষ্ট মাছের মসলা দিয়ে ভালো মতো মেখে তার ওপর সুতায় বেঁধে রাখা মাছ বিছিয়ে দিতে হবে। এবার আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা চাল, নারকেল দুধ ও পানি দিয়ে চুলায় বসাতে হবে ফুল আঁচে। পানি ফুটে উঠলে চুলার জ্বাল কমিয়ে দমে বসিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর আঁচ বন্ধ করে আরও ৫ মিনিট দমে রেখে পরিবেশন করুন।
ফিশ কেক
উপকরণ: আলু সেদ্ধ ২-৩টা, যে কোনো মাছের ফিলে ৩-৪ টুকরো, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কলি কুচি ১/২ কাপ, অরিগনো ১/২ চা চামচ, চিলি ফ্লেক্স ১/২ চা চামচ, রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, মাখন ৩ টেবিল চামচ, ময়দা পরিমাণমতো, ফেটানো ডিম ২টা, ব্রেড ক্রাম্ব, লবণ ও তেল পরিমাণমতো ।
প্রস্তুত প্রণালি: আলু এমনভাবে সেদ্ধ করতে হবে যাতে পানি পানি ভাব না থাকে। মাছ ছোট ছোট চৌকোনা টুকরো করে লবণ ও গোলমরিচ মাখিয়ে মাখনে ভেজে নিন। ওই মাখনেই রসুন কুচি দিয়ে ভাজতে হবে। এরপর একে একে অরিগনো চিলি ফ্লেক্স পেঁয়াজকলি দিয়ে ভাজতে হবে ২ মিনিট। এরপর আলু, ভাজা মাছ ও মসলা একত্রে মাখাতে হবে আলতো করে। এবার পছন্দমতো শেপে ফিশ কেক বানিয়ে ময়দায় গড়িয়ে, ডিমে চুবিয়ে, ব্রেডক্রাম্বে মাখিয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে ১০-১৪ মিনিট। এরপর ডুবো তেলে ভাজতে হবে। রুটি, ভাত কিংবা গার্লিক ব্রেডের সঙ্গে অনায়াসে সেহরিতে খাওয়া যায় এই মজাদার সহজপাচ্য ফিশ কেক।